উত্তরবঙ্গের দিনহাটার উপনির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূলের বড় জয়কে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার আওয়াজ বলে মনে করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কাছে মাত্র ৫৭ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। সেই উদয়ন গুহ, সেই দিনহাটা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩৭ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়ে জয়ী হয়েছেন।
উত্তরবঙ্গে শাসক দল তৃণমূলের বিপুল জয়ে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ আওয়াজ তুলল মোদি হঠাও। দিনহাটার মানুষ আজ তাদের ভুল শুধরে নিল। তবে বিজেপির প্রার্থীর বিপরীতে এত বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় প্রত্যাশা করিনি।’
শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সব কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। বিজেপির লোকেরা যদি বলে ছাপ্পা ভোট পড়েছে। তাহলে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত।’
বিজেপির জেতা দুটি আসন দিনহাটা ও শান্তিপুর হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে লজ্জার হার হয়েছে। সেখানে বিজেপি প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দিনহাটা, খড়দহ এবং গোসাবা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীরা জামানত বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নোটায় পড়া ভোট বাদ দিয়ে মোট প্রদত্ত ভোটের ৬ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয় প্রার্থীকে জামানত বাঁচাতে। একমাত্র শান্তিপুরে কিছুটা রক্ষা হয়েছে বিজেপির।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, ‘রিগিং করে চার কেন্দ্রে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।’
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ পাল্টা বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হয়েই ৪ কেন্দ্রে এভাবে হেরে অসাধারণ রেকর্ড তৈরি করেছেন। ২০২৪ সালে এরাজ্য থেকে একজনও বিজেপি সাংসদ দিল্লিতে পৌঁছবেন না।’