চীনের সরকার জরুরি পরিস্থিতির জন্য পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ঘরে ঘরে নিত্যপণ্য মজুত করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনগুলোকেও পণ্যের জোগান স্বাভাবিক ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় চীনের কয়েকটি অঞ্চলে লকডাউন চলছে। অন্যদিকে অস্বাভাবিক অতিবৃষ্টি-বন্যায় শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে শাকসবজি সরবরাহ নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট ও বাজারে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।
চীনের সামাজিক মাধ্যম উইবোতে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এই সংবাদ প্রকাশ হওয়া মাত্র আমার আশপাশের লোকজন পাগল হয়ে গেছে। সুপারমার্কেটগুলোতে ভিড় জমে গেছে, উন্মাদের মতো কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।’
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত সংবাদপত্র ইকোনমিক ডেইলি পাঠকদের প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
পত্রিকাটি বলছে, কোনো এলাকায় হঠাৎ লকডাউন জারির প্রয়োজন হলে যেন আগেই প্রস্তুতি থাকে, তা নিশ্চিতে এ পরামর্শ দেয়া হয়েছে দেশবাসীকে এ পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
পিপলস ডেইলি পত্রিকায় বলা হয়, দেশটিতে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি নতুন নয়। কিন্তু করোনার বিস্তার আর দ্রব্যমূল ঊর্ধ্বমুখী- এমন পরিস্থিতিতে এ বিজ্ঞপ্তি শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শীতের আগে চীনে বরাবরই খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে সবজির দাম ব্যাপক বেড়েছে।