নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ২৩-২৫ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়েছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই সময় তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, দ্রুত উপত্যকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। তবে বাস্তবে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। অমিত শাহ সেখান থেকে ফেরত আসার পরেই ওই রাজ্যে আধাসামরিক বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বাড়ার পর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে আরও ৫ হাজার আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আবারও গৃহবন্দি করা হয়েছে রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই চ্যালেঞ্জিং। জম্মু ও কাশ্মীরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে আধাসামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত ৫০ কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে। ৫০ কোম্পানির মধ্যে ৩০ কোম্পানি শুধু শ্রীনগরেই মোতায়েন করা হচ্ছে।’
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ হাজার কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করতে দক্ষিণ কাশ্মীরের আটটি জায়গায় জমি বরাদ্দ দিয়েছে সিআরপিএফকে।
এদিকে শোপিয়ানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মেহবুবা মুফতি। তাকে আবারও গৃহবন্দি করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় এক ডজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজন অমুসলিম। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন অভিবাসী শ্রমিকও রয়েছেন। এছাড়াও মৃত্যুতে বিশিষ্ট কাশ্মীরি পণ্ডিত ব্যবসায়ী মাখন লাল বিন্দুর নামও রয়েছে।