বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘এক্স জেন্ডার’ পাসপোর্ট চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২১ ২২:০৮

প্রথম ‘এক্স জেন্ডার’ পাসপোর্টগ্রহীতা জিম আগে আদালতে যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছেন, তা থেকে জানা যায় যে জন্মের সময় তার দেহে লিঙ্গপরিচয় নিশ্চিত করার মতো সুনির্দিষ্ট কোনো প্রত্যঙ্গ ছিল না। কিন্তু তিনি বেড়ে ওঠেন ছেলে হিসেবে। বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচারের পরেও জিমকে পরিপূর্ণ পুরুষের রূপ দিতে পারেননি চিকিৎসকরা। পেশাজীবনে জিম নৌবাহিনীতে কাজ করেছেন একজন পুরুষ হিসেবে। কিন্তু কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা ও চাকরি করার সময় তিনি নিজেকে উভকামী হিসেবে শনাক্ত করেন।

লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার সুবিধার্থে যুক্তরাষ্ট্রে চালু হলো ‘এক্স জেন্ডার’ চিহ্নিত পাসপোর্ট। এরই মধ্যে এ ধরনের প্রথম পাসপোর্ট ইস্যুও করেছে দেশটি।

নিজেদের নারী বা পুরুষ- কোনোটাই মনে করেন না, এমন ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিতে এ পদক্ষেপ মাইলফলক বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানিয়েছিল, আগামী বছর নাগাদ এ সুযোগের পরিসর আরও বাড়ানো হবে। প্রথম ‘এক্স জেন্ডার’ পাসপোর্ট যিনি গ্রহণ করেছেন, তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি মন্ত্রণালয়।

তবে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট কলিন্স এলাকার ইন্টারসেক্স (উভকামী) অধিকার কর্মী ডানা জিম পাসপোর্টটি গ্রহণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেন্ডার নিরপেক্ষ বিশেষণে নিজেকে বিশেষায়িত করেন জিম। ২০১৫ সাল থেকে আমেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইনি লড়াই লড়ছেন তিনি।

নিজেকে নারী বা পুরুষ হিসেবে চিহ্নিতের মাধ্যমে মিথ্যা লিঙ্গপরিচয় দিতে হয়- এমন পাসপোর্ট চাননি তিনি। তার লড়াইয়ের উদ্দেশ্য ছিল, নিজের সঠিক লিঙ্গপরিচয় সম্বলিত একটি পাসপোর্ট পাওয়া যেখানে কোনো মিথ্যা তথ্য থাকবে না।

৬৩ বছর বয়সী জিম জানান, সকালে ঘুম ভাঙার পরই নিজের আইনজীবী পল ক্যাস্টিলোর কাছ থেকে একটি ক্ষুদেবার্তা, আর তারপর ফোনকলে ‘এক্স জেন্ডার’ পাসপোর্ট পাচ্ছেন বলে জানতে পারেন। পরে কুরিয়ারে পাসপোর্টটি গ্রহণও করেন তিনি।

এরপর সফররত দুই অধিকার কর্মীর সঙ্গে রাতভর উভকামী সচেতনতা দিবসের আনন্দ উদযাপন করেন তিনি।

পাসপোর্টটি পেয়ে জিম আনন্দিত। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের উভকামীদের জন্য পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে তার লক্ষ্য এখনও অর্জন হয়নি।

কেবল বিশ্বভ্রমণ উদ্দেশ্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি আমি কোনো সমস্যা নই। বিষয়টা হচ্ছে যে আমি একজন মানুষ।’

প্রথম ‘এক্স জেন্ডার’ পাসপোর্টগ্রহীতা জিম আগে আদালতে যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছেন, তা থেকে জানা যায় যে জন্মের সময় তার দেহে লিঙ্গপরিচয় নিশ্চিত করার মতো সুনির্দিষ্ট কোনো প্রত্যঙ্গ ছিল না। কিন্তু তিনি বেড়ে ওঠেন ছেলে হিসেবে। বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচারের পরেও জিমকে পরিপূর্ণ পুরুষের রূপ দিতে পারেননি চিকিৎসকরা।

পেশাজীবনে জিম নৌবাহিনীতে কাজ করেছেন একজন পুরুষ হিসেবে। কিন্তু কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা ও চাকরি করার সময় তিনি নিজেকে উভকামী হিসেবে শনাক্ত করেন।

পরে এমন লিঙ্গপরিচয় চিহ্নিত পাসপোর্ট জিমকে দিতে অস্বীকৃতি জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ কারণে আন্তর্জাতিক উভকামী সংস্থার দুটি বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি তিনি।

নানা বিতর্ক ও ঘাত-প্রতিঘাত শেষে চলতি বছরের জুনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পাসপোর্টে তৃতীয় লিঙ্গ চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু কম্পিউটার নেটওয়ার্কিংয়ে এ সংক্রান্ত সফটওয়্যারে বড় পরিবর্তন আনতে হবে বলে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।

এ ছাড়া পাসপোর্টের আবেদনপত্রে এবং সিস্টেম আপডেটে ‘এক্স’ লিঙ্গ চিহ্নিত করার বিষয়টিতে ব্যবস্থাপনা ও অর্থবরাদ্দবিষয়ক বিভাগের অনুমতি অপেক্ষমান ছিল। সব সরকারি নথিতে সংস্থাটির সই থাকতে হয়।

দুই বছর আগেই এ ধরনের পাসপোর্ট চালু করেছে কানাডা সরকারও।

এ বিভাগের আরো খবর