বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কপ২৬ সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকিতে: জনসন

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:৪৬

‘আমরা যদি কপ২৬ সম্মেলনকে ব্যর্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বনেতাদের অবশ্যই অর্থপূর্ণ প্রতিজ্ঞা ও সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমাবদ্ধ রাখতে বিভিন্ন দেশের নেতারা এখনও অঙ্গীকার করছেন না। এতে জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬ ব্যর্থ হওয়ার গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবার্তা দেন বলে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে রোববার বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬ শুরু হয়। চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। ওই সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের নেতারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরছেন।

কপ২৬ সম্মেলন শুরুর আগে ইতালির রাজধানী রোমে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জি২০ ভুক্ত দেশের নেতারা বৈঠকে একত্রিত হন।

বৈঠকের দুদিন পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জনসন জানান, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি হচ্ছেন না বিশ্বনেতারা। জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের অগ্রগতি কেবল এক ইঞ্চি এগিয়ে।

বৈঠকে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় আনার অঙ্গীকার করে জি২০ভুক্ত দেশের মধ্যে মাত্র ১২টি দেশ। চীন, সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশ ২০৬০ সালের মধ্যে ওই লক্ষ্য অর্জনের কেবল আনুষ্ঠানিক অঙ্গীকার করে।

সংবাদ সম্মেলনে জনসন বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে বিশ্বনেতাদের অঙ্গীকার আরও জোরালো হওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমাতে দেশগুলোর বলিষ্ঠ ও অর্থপূর্ণ অঙ্গীকার করা জরুরি।’

একই সঙ্গে কয়লার ওপর নির্ভরতা কমানো, বৈদ্যুতিক যান তৈরি, বন উজাড় বন্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশে অর্থসহায়তা দেয়া- এসব বিষয়ে অঙ্গীকারে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন।

তিনি বলেন, ‘যেসব দেশ অতীতে ও বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী, সেসব দেশ এখনও জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

‘আমরা যদি কপ২৬ সম্মেলনকে ব্যর্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বনেতাদের অবশ্যই অর্থপূর্ণ প্রতিজ্ঞা ও সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

‘কপ২৬ ব্যর্থ হলে আমাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। প্যারিস চুক্তির আর কোনো প্রাসঙ্গিকতাই থাকবে না।’

২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বিশ্বনেতারা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা সম্ভব হলে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন।

জনসন বলেন, ‘প্যারিস চুক্তি এখন এক টুকরা কাগজ ছাড়া আর কিছু নয়। প্রতিটি দেশের সম্মিলিত অঙ্গীকারই পারবে ওই চুক্তিকে বাস্তব রূপ দেয়া।’

কপ২৬ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা অংশ নিলেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এতে উপস্থিত নেই।

এ বিভাগের আরো খবর