বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘প্রকাশ্যে’ তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুনজাদা

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৪০

এ পর্যন্ত কখনোই জনসমক্ষে না আসা এই নেতার হদিস অজানা। জানা যায় না ন্যূনতম কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও। ধারণা করা হয়, তার বয়স ৬১ বছরের আশপাশে। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর কান্দাহারের এক চরম রক্ষণশীল পরিবারে তার জন্ম। আশি ও নব্বইয়ের দশকে রুশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত আফগানিস্তানে তালেবানের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তিনি। প্রথম দফার তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে বিচার বিভাগের প্রধান ছিলেন আখুনজাদা।

প্রথমবারের মতো দলীয় অনুসারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন আফগানিস্তানের শাসক দল তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে স্বল্প সময়ের জন্য আস্তানা থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার এক ঘোষণায় ‘আখুনজাদা জনসমক্ষে এসেছেন’ বলে দাবি করেন তালেবান কর্মকর্তারা।

বলা হয়, এক দিন আগে ‘সাহসী যোদ্ধা ও অনুসারীদের সঙ্গে কথা বলতে’ দারুল উলুম হাকিমাহ মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছেন আখুনজাদা। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। এর কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করা হয়নি।

তবে তালেবাননিয়ন্ত্রিত কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরে আখুনজাদার ১০ মিনিটের একটি অডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

২০১৬ সাল থেকে তালেবানের আধ্যাত্মিক নেতা ও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা। তখন থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন তিনি। ২০ বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চলতি বছরের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিলেও সামনে আসেননি দলপ্রধান।

এমনকি দলীয় কোন্দলে আখুনজাদা নিহত হয়েছেন বলে গত দুই মাসে নানা গুঞ্জন উঠলেও আড়াল থেকে বেরোননি তিনি।

আখুনজাদাকে ‘আমিরুল মুমিনিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তালেবান সদস্যরা। আমিরুল মুমিনিনের বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘বিশ্বাসীদের নেতা’।

১০ মিনিটের অডিও রেকর্ডে আখুনজাদা ধর্মীয় বার্তা দিয়েছেন। এতে রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা ছিল না, তবে শাসক দল তালেবানের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন তিনি।

যুদ্ধে হতাহত তালেবান যোদ্ধাদের প্রশংসা করেছেন আখুনজাদা। এই ‘পরীক্ষায়’ কথিত ইসলামিক আমিরাত, অর্থাৎ তালেবানশাসিত আফগানিস্তানের সফলতার জন্য দোয়া করেছেন।

হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার পূর্বসূরি ছিলেন মোল্লা আক্তার মনসুর। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হলে তালেবানের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন আসে এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন আখুনজাদা।

কে এই আখুনজাদা, কী তার পরিচয়

এ পর্যন্ত কখনোই জনসমক্ষে না আসা এই নেতার হদিস অজানা। জানা যায় না ন্যূনতম কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও। ধারণা করা হয়, তার বয়স ৬১ বছরের আশপাশে।

একটিমাত্র ছবিতে আখুনজাদাকে দেখা যায়। ২০১৬ সালের ২৫ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তালেবানের পক্ষ থেকেই প্রকাশ করা হয়েছিল ছবিটি। পরে কয়েকজন তালেবান নেতাও নিজেদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছবির ব্যক্তিকে আখুনজাদা হিসেবে শনাক্ত করেছেন।

আজীবন ছায়ায় থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাওয়া কট্টরপন্থি এই নেতার এক ছেলে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ছিলেন বলে জানা যায়। তার নেতৃত্বেই অন্য নেতারা বছরের পর বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেছেন এবং দুই দশক যুদ্ধের পর আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট।

বলা হয়, আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর কান্দাহারের এক চরম রক্ষণশীল পরিবারে আখুনজাদার জন্ম। আশি ও নব্বইয়ের দশকে রুশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত আফগানিস্তানে তালেবানের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তিনি।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, নব্বইয়ের দশকে প্রথম দফার তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে বিচার বিভাগের প্রধান ছিলেন আখুনজাদা।

সে সময় নারীদের জীবিকা উপার্জনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া, পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাসহ শরিয়াহ আইনের কঠোর বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছিল তারই নেতৃত্বে।

এ বিভাগের আরো খবর