ভবানীপুরের পর পশ্চিমবঙ্গের বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। শনিবার কড়া নিরাপত্তায় সকাল ৭টা থেকে ভোট নেয়া শুরু হয়। এদিন শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা এবং খড়দহে ভোট হয়।
ভবানীপুরের মতো চারটি বিধানসভা আসনে জয়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই। অন্যদিকে বিজেপির তাদের জেতা দুটি বিধানসভা কেন্দ্র নিজেদের হাতে ধরে রাখার লড়াই।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিনহাটায় ৭০ শতাংশ, গোসাবায় ৭৬ শতাংশ, শান্তিপুরে ৭৬ শতাংশ এবং খড়দহে ৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভোটকেন্দ্রে বুথের নিরাপত্তা দিতে দিনহাটায় ২৭ কোম্পানি, খড়দহে ২০ কোম্পানি, শান্তিপুরে ২২ কোম্পানি এবং গোসাবায় ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সাংসদ নিশীথ প্রামানিক মাত্র ৫৭ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে হারিয়েছিলেন।
নিশীথ সাংসদ পদ ধরে রেখে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেয়ায় কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য হলে আবার উপনির্বাচন হয়। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী আবারও উদয়ন গুহ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভোটের ফল প্রকাশের আগেই মারা যান খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তার মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে আবার উপনির্বাচন হয়।
শান্তিপুরে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার সাংসদ পদ ধরে রেখে বিধায়ক পদে থেকে পদত্যাগ করলে কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়ে ।
গোসাবার বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর করোনায় মারা যাওয়ায় কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়েছিল।
খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কেন্দ্রে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন শোভনদেব।
এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী কৃষিমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে হলে নির্বাচিত হতে হবে তাকেও।
বিজেপিকে কোনো সুযোগ না দিয়ে ঘাসফুল শিবির চারটি আসনেই নিজেদের জয় দেখতে চাইছে। অন্যদিকে বিজেপি তাদের জেতা দুটি আসন দিনহাটা ও শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র নিজেদের হাতে ধরে রাখতে মরিয়া।
২ নভেম্বর চার উপনির্বাচন কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হবে।