সাংবাদিক হত্যায় জড়িত অপরাধীদের সাজা না দেয়ার ভিত্তিতে প্রতিবছর গ্লোবাল ইমপিউনিটি ইনডেক্স বা বৈশ্বিক দায়মুক্তি সূচক প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। এ বছর এই তালিকায় বাংলাদেশের কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তালিকায় ২০২০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০। একধাপ উন্নতি নিয়ে এবার হয়েছে ১১।
সিপিজের এই তালিকায় বাংলাদেশের ঠিক পরেই রয়েছে ভারত। আর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান রয়েছে সূচকের যথাক্রমে নবম ও পঞ্চম স্থানে।
সাংবাদিক হত্যায় জড়িত খুনিরা পার পেয়ে যাওয়ার সূচকে শীর্ষে সোমালিয়া। এ ছাড়া সূচকের ১২টি দেশের মধ্যে ২য় ও ৩য় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিরিয়া ও ইরাক।
সিপিজে বলছে, সংঘর্ষ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দুর্বল বিচারব্যবস্থার কারণে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইরাকে ক্রমশ বাড়ছে।
সূচকে মেক্সিকো, ফিলিপাইন ও ব্রাজিল রয়েছে যথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে। আর রাশিয়া রয়েছে দশম স্থানে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতের্তের শাসনামলে সাংবাদিকরা নানা ধরনের ভয়ভীতি ও ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন। বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বার্থে নিরলস ও নির্ভীকভাবে কাজ করার জন্য দেশটির সাংবাদিক মারিয়া রেসা এ বছর শান্তিতে নোবেল পান।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিপিজের বৈশ্বিক দায়মুক্তি সূচকের ১২ দেশের তালিকায় ২০০৮ সাল থেকে টানা অবস্থান করছে পাকিস্তান।
সিপিজে থেকে বলা হয়, গত ১০ বছরে সাংবাদিক হত্যার ৮১ শতাংশ ঘটনায় অপরাধী থাকে প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে।