ইয়েমেনের কৌশলগত শহর মারিবের কাছে বিমান হামলায় ৯৫ হুতি বিদ্রোহী প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত ইয়েমেন সরকার।
মারিব শহরের দক্ষিণে আল-জাওবা ও উত্তর-পশ্চিমে আল-কাসারা জেলায় বৃহস্পতিবার ওই বিমান হামলা হয়।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১১ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মারিব শহরাঞ্চলে বিমান হামলায় প্রায় দুই হাজার হুতি বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, হতাহতের বিষয়ে খুব কমই মন্তব্য করতে রাজি হয় ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা।
আর নিহতের সংখ্যা নিয়ে সৌদি জোট-সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের দাবি যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।
ইয়েমেন সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, মারিবের কাছে দুটি জেলায় হুতিদের লক্ষ্য করে ২২টি অভিযান চালায় সৌদি জোট। অভিযানে ৯৫ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত ও ১১টি সামরিক যান ধ্বংস করা হয়।
ইয়েমেনের মারিব প্রদেশের রাজধানী মারিব তেলসমৃদ্ধ একটি এলাকা। দেশটির উত্তরাঞ্চলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের শেষ দুর্গ এই রাজধানী শহর।
এদিকে লেবাননভিত্তিক পত্রিকা আল-আকবর জানিয়েছে, মারিব শহর ঘিরে নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার দাবি করেছে হুতিরা।
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া হুতি সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ নাসের আল-আতেফি বলেন, ‘আমাদের বাহিনী মারিবের চারপাশ ঘিরে ফেলেছে। যেকোনো মুহূর্তে পুরো মারিব আমাদের দখলে চলে আসবে।’
২০১৪ সালে মারিব থেকে ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে হুতি বিদ্রোহীরা। এরপরই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পরের বছর ইয়েমেন সরকারকে সামরিক ও নৈতিক সমর্থন দেয় সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী।
ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ হাজারের বেশি মানুষ বেসামরিক। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয় কয়েক লাখ ইয়েমেনি।