মানুষের পূর্বপুরুষের নতুন আবিষ্কৃত প্রজাতির নাম ঘোষণা করেছেন গবেষকরা। পাঁচ লাখ বছর আগেকার এই প্রজাতির নাম দেয়া হয়েছে হোমো বোডোএনসিস।
এ বিষয়ে ইভোল্যুশনারি অ্যানথ্রোপলজি সাময়িকীতে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, প্রায় পাঁচ লাখ বছর আগে মধ্য প্লাইস্টোসিন যুগে আফ্রিকায় এই প্রজাতির মানুষ বাস করত। তারা আধুনিক মানুষের সরাসরি পূর্বপুরুষ।
ইথিওপিয়ার আওয়াশ নদী উপত্যকার বোডো দা’র অঞ্চলে ওই প্রজাতির এক মানুষের খুলি পাওয়া যায়। সেখান থেকেই প্রজাতিটির নাম বোডোএনসিস রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মধ্য প্লাইস্টোসিন যুগটি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ওই সময় দেখতে একই রকম আফ্রিকায় হোমো স্যাপিয়েন্স ও ইউরোপে হোমো নিয়ানডারথেলেনসিস প্রজাতির মানুষের বসবাস ছিল।
অবশ্য কয়েকজন জীবাশ্মবিদ ওই যুগকে ‘মধ্যের মধ্যে গোলমেলে’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কারণ ওই সময়ের মানব বিবর্তন সম্পর্কে খুব সামান্যই বোঝা গেছে।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ উইনিপেগের অধ্যাপক ও গবেষণা প্রতিবেদনের মূল লেখক ড. মিরজানা রকসানডিক বলেন, ‘মধ্য প্লাইস্টোসিন যুগে মানুষের বিবর্তন নিয়ে কিছু বলাটা কঠিন। কারণ মানুষের ভৌগোলিক বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেয়ার মতো যথোপযুক্ত পরিভাষা নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রজাতির নতুন নাম দেয়া বিশাল ব্যাপার। কারণ কঠোর নীতির অধীনেই শুধু ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন জুলজিক্যাল নোমেনক্লেচার নাম পরিবর্তনের অনুমতি দেয়।’
নতুন এই শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, হোমো বোডোএনসিস বলতে মধ্য প্লাইস্টোসিন যুগের বেশির ভাগ মানুষকে বোঝাবে, যারা পুরো আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি এলাকায় বাস করত। আর ইউরোপের বেশির ভাগ মানুষকে নিয়ানডারথাল প্রজাতিতে ফের শ্রেণিবদ্ধ করা হবে।
ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াইয়ের নৃ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা প্রতিবেদনটির অন্যতম লেখক ক্রিস্টোফার বে বলেন, ‘মানব বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ যুগ সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে আলোচনা করতে মানব প্রজাতির এই নতুন নামকরণ করা হয়েছে।’