বিয়ে বিচ্ছেদের পর স্বাভাবিকভাবেই আলাদা থাকছেন সাবেক স্বামী-স্ত্রী। একসঙ্গে থাকাকালীন সংসারের আরেক সদস্য ছিল একটি কুকুর। আর সব বিষয় নিয়ে বিবাদ মিটলেও পোষা কুকুরটি কার সঙ্গে থাকবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান সাবেক স্বামী-স্ত্রী।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জল এতটাই গড়িয়েছে যে শেষ পর্যন্ত আবারও আইনের আশ্রয় নিতে হয়েছে তাদের। বিয়ে বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর কুকুরের দায়িত্ব কার, সে প্রশ্নের উত্তর পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন তারা।
নজিরবিহীন ও বিচিত্র এ ঘটনা ঘটেছে স্পেনে। রাজধানী মাদ্রিদের একটি আদালত রায়ও দিয়েছে।
বিরল সে রায়ে বলা হয়, কুকুরটিকে লালনপালনের দায়িত্ব সাবেক ওই যুগলকে ‘যৌথভাবে’ নিতে হবে। বিরতি দিয়ে তাদের দুজনের সঙ্গেই থাকবে কুকুরটি, দুজনই আলাদাভাবে তাকে সময় দেবে।
যে কুকুরকে নিয়ে এত কাণ্ড, তার নাম পান্ডা।
মামলাটি উত্থাপন করা আইনজীবী লোলা গার্সিয়া জানান, আদালতের এ রায় ‘আরও অনেককেই পথ দেখাবে’।
প্রাণীকল্যাণে নতুন একটি আইনের খসড়া তৈরি করছে স্পেনের সরকার। তাদের জড়বস্তু হিসেবে বিবেচনা না করে জীবন্ত প্রাণী হিসেবে বিবেচনায় আইনটি প্রণয়ন করা হচ্ছে।
দম্পতিদের বিচ্ছেদের ফলে যেন পোষা কুকুরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হবে এ আইনে। এর ফলে সাবেক দম্পতিদের একজনও যদি চান, তাহলে কুকুরের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে পালন করতে হবে উভয়কেই।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, দুইজনই এক মাস করে নিজেদের কাছে রাখবেন পান্ডা নামের কুকুরটির। পান্ডার চিকিৎসা ব্যয়সহ লালনপালনের খরচ ভাগ করে নিতে হবে সাবেক দম্পতিকে।
এ ছাড়া ‘সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার পারিবারিক ছবি যেভাবে তোলা হয়, সেভাবেই পান্ডার সঙ্গে ছবি তুলে’ও তাদের আদালতে প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে।