সেনা অভ্যুত্থানে আটক হওয়ার একদিন পর স্ত্রীসহ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদক। তার কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে মুক্তি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী। কিন্তু তাদের সঙ্গেই আটক হওয়া ক্ষমতাচ্যুত সরকারের অন্য বেসামরিক কর্মকর্তারা এখনও সেনাবাহিনীর হেফাজতে আছেন। অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে তাদের।
সুদান সেনাবাহিনীর জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান গত সোমবার ক্ষমতা দখল করেন এবং সামরিক-বেসামরিক যৌথ সরকার ভেঙে দেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপের মুখে পড়ে সুদান সেনাবাহিনী।
অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে আটক বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজধানী খারতুমের অভিজাত এলাকা কাফুরির নিজ বাড়িতে ‘কঠোর নিরাপত্তা’য় রাখা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীকে। তারা স্বাধীন চলাচল করতে পারবেন নাকি অনুমতি নিতে হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে সুদানের নতুন শাসকগোষ্ঠীকে অভ্যুত্থানের ‘মাশুল গুণতে হবে’ বলে হুঁশিয়ার করে ইইউ। হুমকি দেয় অর্থসহায়তা বাতিলের। এরই মধ্যে ৭০ কোটি ডলারের সাহায্য স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
একদিন আগেই জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে জেনারেল বুরহান দাবি করেন, হামদককে নিজের নিরাপত্তার জন্যই হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং দ্রুত মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু রাজপথে গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তাদের শাস্তিভোগ করতে হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
সুদানে গত দুইদিনের সহিংস বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে রেখেছে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা।