বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদালতে সু চির প্রথম সাক্ষ্য, ‘উসকানি’র অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:০০

সু চির আইনজীবীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা মিয়ানমার নাওকে বলেন, ‘নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে আদালতে সু চি ভালোভাবেই তার বক্তব্য উপস্থাপন করতে পেরেছেন।’ শুনানির বিষয়ে সু চির আইনজীবীদের সংবাদমাধ্যমে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেনাবাহিনী। তাই এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি ওই আইনজীবী।

১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৯ মাসে প্রথমবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মিয়ানমারের জনপ্রিয় নেত্রী অং সান সু চি। সাবেক এই রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা তার বিরুদ্ধে আনীত ‘জনগণকে উসকে দেয়ার’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

অভ্যুত্থানের ফলে চরম দোলাচলে থাকা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সু চির বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১১টি অভিযোগ গঠন করেছে। দোষী সাব্যস্ত হলে ৭৬ বছর বয়সী এই নেত্রীকে দীর্ঘ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যুত্থানের পর ফেব্রুয়ারি মাসেই সু চির দল সামরিক শাসকগোষ্ঠীর নিন্দা জানিয়ে দুটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ না করতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছিল। এ ঘটনায় সু চির বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ এনেছে জান্তা সরকার।

আদালতে মঙ্গলবারের রুদ্ধদ্বার শুনানিতে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন সু চি।

সু চির আইনজীবীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা মিয়ানমার নাওকে বলেন, ‘নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে আদালতে সু চি ভালোভাবেই তার বক্তব্য উপস্থাপন করতে পেরেছেন।’

শুনানির বিষয়ে সু চির আইনজীবীদের সংবাদমাধ্যমে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেনাবাহিনী। তাই এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি ওই আইনজীবী।

২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় অর্জনের পর নতুন সরকার পার্লামেন্ট অধিবেশনে বসার কয়েক ঘণ্টা আগেই হয় অভ্যুত্থান। এর পরই সু চিসহ বেসামরিক সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। যদিও তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয় আরও অনেক পরে।

অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমারে জাতীয় পর্যায়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ শুরু গণতন্ত্রকামী জনতা। অস্ত্রের শক্তি প্রয়োগ করে বিক্ষোভ দমন করে সেনাবাহিনী, হত্যা করে শিশুসহ ১ হাজার ১০০ মানুষকে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থা অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, বিরোধী মত দমনে ৯ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। ধরপাকড় চলছে এখনও।

সু চির বিরুদ্ধে আনীত বাকি ১০টি অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি, করোনাভাইরাস মহামারিকালীন বিধিনিষেধ ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন।

সু চির বিরুদ্ধে এসব মামলার অগ্রগতির বিষয়ে কোনো খবর প্রকাশ করেনি মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। এ অবস্থায় চলমান বিচারের বিষয়ে তথ্যের একমাত্র উৎস ছিলেন তার আইনজীবী খিন মং জাও।

কিন্তু চলতি মাসে খিন মং জাওকেও মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সামরিক সরকার। কারণ তিনিই ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের আদালতে দেয়া সাক্ষ্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন।

আদালতে উইন মিন্ট জানিয়েছেন যে, অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা আগেই তাকে ক্ষমতা হস্তান্তরে চাপ দিয়েছিল সেনাবাহিনী। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তার ক্ষতি করারও হুমকি দিয়েছিলেন মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা।

গ্রেপ্তারের পর থেকে অং সান সু চিকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। রাজধানী নেইপিদোর একটি বিশেষ আদালতে চলছে তার শুনানি।

এ বিভাগের আরো খবর