দীর্ঘ চার বছর পর মিসরে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সোমবার রাতে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত চার বছর ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে তিন মাস পরপর নিয়মিত জরুরি অবস্থার সময় বাড়ানো হতো।
তিনি লেখেন, ‘গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই প্রথম জরুরি অবস্থা আর দীর্ঘায়িত করছি না আমি। সারা দেশে জারিকৃত জরুরি অবস্থা বাতিল করছি।’
২০১৭ সালের এপ্রিলে মিসরের উত্তরাঞ্চলে দুটি গির্জায় বোমা হামলায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় জারি করা হয়েছিল এ জরুরি অবস্থা। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ওই হামলার দায়স্বীকার করেছিল।
সিসি আরও লেখেন, ‘আমি আনন্দিত যে শেষ পর্যন্ত আমরা এ মূহুর্তটার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারছি। কঠোর সংগ্রাম আর কঠিন পরিশ্রমের ফলে এ মূহুর্তের দেখা পেয়েছি।
‘গোটা অঞ্চলে আজ মিশর নিরাপত্তা আর স্থিতিশীলতার মশাল বহন করছে। এ কৃতিত্বের অংশীদার আমাদের জনগণ ও বিশ্বস্ত সমর্থকরা। সবাইকে ধন্যবাদ।’
২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল তিন মাসের জন্য দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল মিসরের পার্লামেন্ট। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল ‘সন্ত্রাসবাদের বিপদ ঠেকানো’র কথা।
সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতি তিন মাসে জরুরি অবস্থা নবায়ন করা হতো। এর আওতায় জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করার, কারফিউ জারি করার, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরোপ করার এবং নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেয়ার অধিকার ছিল মিসরীয় প্রশাসনের।