ষাটের দশকে অস্ট্রেলিয়ার ইপসউইচ শহরের এক কয়লাখনিতে ২২০ মিলিয়ন বছর আগের এক প্রাণীর পায়ের চিহ্ন পাওয়া যায়। সে সময় ধারণা করা হয়েছিল, ওই প্রাণীটি বিশালকৃতির মাংসাশী কোনো ডাইনোসরের।
সম্প্রতি ওই পায়ের চিহ্ন নিয়ে ফের গবেষণা করেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা শেষে তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান, পায়ের চিহ্নগুলো মাংসাশী কোনো ডাইনোসরের নয়। বরং সেগুলো ভীতু, লম্বা গলার তৃণভোজী কোনো ডাইনোসরের।
মূল পায়ের চিহ্ন আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে এসব মতামত দেন বিজ্ঞানীরা।
এ ছাড়া ডাইনোসরের অন্যান্য প্রজাতির পায়ের চিহ্নের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া ওই প্রাণীর পায়ের চিহ্ন তুলনার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান বলে সায়েন্স এলার্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, পায়ের চিহ্নগুলো ট্রায়াসিক যুগের কোনো ভয়ংকর শিকারি প্রাণীর হওয়ার সম্ভাবনা কম। এটি ছোট আকৃতির ও কম আক্রমণাত্মক কোনো তৃণভোজী ডাইনোসরের।
তবে ওই ডাইনোসর ঠিক কোন প্রজাতির, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ডের প্যালিওনটোলজিস্ট অ্যান্থনি রোমিলিও বলেন, ‘বহু বছর ধরে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন, ওই পায়ের চিহ্ন বিশাল এক শিকারি প্রাণীর, যার পা দুই মিটারের বেশি দীর্ঘ এবং এটি ডাইনোসরের ইউব্রোনটেস গোত্রের।’
তিনি বলেন, ‘ওই বক্তব্য কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানী মহলে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। কারণ ট্রায়াসিক যুগে কোনো মাংসাশী ডাইনোসরের এত লম্বা পায়ের অস্তিত্ব এর আগে জানা যায়নি।
‘আমাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, ওই পায়ের চিহ্ন ডাইনোসরের ইভাজোয়াম গোত্রের। এ গোত্রের ডাইনোসরের আকৃতি একটু ছোট। তৃণভোজী এসব প্রাণীর পা প্রায় ১.৪ মিটার দীর্ঘ। এদের শরীরের দৈর্ঘ্য ৬ মিটার।’