বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভারতে মুসলিমবিদ্বেষ ছড়াতে সাহায্য করেছে ফেসবুক’

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:০৪

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, মুসলিমবিদ্বেষী পোস্ট ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে ফেসবুক জানত। এরপরেও সেগুলো ঠেকাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ভারতে নিজেদের ব্যবসার ওপর প্রভাব পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় আরএসএসকে বিপজ্জনক সংগঠনের ক্যাটাগরিতে ফেলার বিষয়েও দ্বিধা দেখিয়েছে ফেসবুক।

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাদের পোস্টের ক্ষেত্রে সত্যতা যাচাই করত না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। একই সঙ্গে এটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নেতাদের মুসলিমবিরোধী পোস্ট ছড়াতেও সাহায্য করেছে।

সম্প্রতি ফেসবুকের সাবেক কর্মকর্তা ফান্সিস হাউগেনের বরাতে এমন তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে

এতে বলা হয়েছে, ফেসবুকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের প্রমাণ বেরিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সংসদীয় কমিটির কাছে জমা দেয়া ফ্রান্সিস হাউগেনের নথি থেকে।

৩৭ বছর হাউগেন প্রায় দুই বছর ধরে ফেসবুকে কাজ করেছেন। সেখানে তার কাজ ছিল মিথ্যা সংবাদ ট্র্যাক করা এবং নিশ্চিত করা যে, প্ল্যাটফর্মটি গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না।

হাউগেনের নথিতে উল্লেখ রয়েছে, কীভাবে ফেসবুকের প্রধান মার্ক জুকারবার্গের নীতি অনুযায়ী মেসেজ দেয়া-নেয়ার ওপর নজরদারি ভারতে আরও ভুল তথ্যের কারণ হয়েছিল। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যায়, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে।

ফেসবুকের নথি অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি মুসলিমবিরোধী পোস্টসহ ভারতে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছিল, সেটি মোকাবিলা করতে পারেনি।

ফাঁস হওয়া একটি অভ্যন্তরীণ নথিতে ফেসবুক গবেষকরা লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির গ্রুপ এবং পৃষ্ঠাগুলো ‘উসকানিমূলক এবং বিভ্রান্তিকর মুসলিমবিরোধী সামগ্রীতে ভরা’।

প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, মুসলমানদের ‘শুয়োর’ এবং ‘কুকুর’ এর সঙ্গে তুলনা করে বেশ কিছু অমানবিক পোস্ট রয়েছে। অনেক পোস্টে মিথ্যা দাবি করা হয়েছে যে, কোরআন পুরুষদের তাদের পরিবারের নারীদের ধর্ষণ করতে বলে।

এতে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ কনটেন্টই পাওয়া গেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের মতবাদ প্রচারকারী ফেসবুক গ্রুপে। এই গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সীমান্তের কাছে মুসলমান সংখ্যালঘু জনবসতির বিস্তার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছিল। এরা ভারত থেকে মুসলমানদের অপসারণ এবং মুসলমান জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন তৈরির জন্য ফেসবুকে পোস্ট করেছিল।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, মুসলিমবিদ্বেষী পোস্ট ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে ফেসবুক জানত। এরপরেও সেগুলো ঠেকাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ভারতে নিজেদের ব্যবসার ওপর প্রভাব পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় আরএসএসকে বিপজ্জনক সংগঠনের ক্যাটাগরিতে ফেলার বিষয়েও দ্বিধা দেখিয়েছে ফেসবুক।

ফেসবুকের একটি নথি অনুযায়ী, ভুয়া তথ্য শ্রেণীবদ্ধ করার জন্য কোম্পানির ব্যয়ের ৮৭ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ, বাকি বিশ্বের জন্য এটি মাত্র ১৩ শতাংশ।

ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন দাবি করেছেন, এই পরিসংখ্যান অসম্পূর্ণ এবং এতে কোম্পানির তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্টচেকিং অংশীদারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর