বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসলামপন্থিদের সামনে ‘নত’ ইমরান সরকার, ৩৫০ বন্দি মুক্ত

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৫৬

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানিয়েছেন, টিএলপিপ্রধান সাদ হোসেন রিজভির মুক্তির পরিকল্পনা এগোতে কাজ চলছে। পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে বিষয়টিকে আখ্যায়িত করা হয়েছে ‘সহিংস বিক্ষোভকারীদের সামনে সরকারের আরেকটি পূর্ণাঙ্গ আত্মসমর্পণ’ হিসেবে।

পাকিস্তানে নিষিদ্ধঘোষিত ইসলামপন্থি সংগঠন ‘তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান’-এর (টিএলপি) ৩৫০ কারাবন্দি সদস্য মুক্তি পেয়েছেন। টিএলপির সঙ্গে বৈরিতা এড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার।

জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় টিএলপির সাড়ে তিন শ নেতা-কর্মীকে। এর আগে রোববার সংগঠনটির সঙ্গে দিনভর আলোচনা করে ইসলামাবাদ।

গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে গোষ্ঠীটি পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দিলে প্রদেশজুড়ে ধরপাকড় শুরু করে পাঞ্জাব পুলিশ। এরপর এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার হন সংগঠনটির শত শত নেতা-কর্মী।

তারপরেও রোববার পাঞ্জাবের মুরিদকে শহরে জড়ো হন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনটির লাখো সদস্য। এর ফলে অচল হয়ে পড়ে সংলগ্ন কয়েকটি জাতীয় মহাসড়ক। অচলাবস্থা নিরসনে টিএলপির সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নেয় ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানিয়েছেন, টিএলপির সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে এখন মুরিদকের সড়কগুলো খুলে দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সরকার।

টিএলপিপ্রধান সাদ হোসেন রিজভির মুক্তির পরিকল্পনা এগোতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক ডনের একটি প্রতিবেদনে পুরো বিষয়টিকে আখ্যায়িত করা হয়েছে ‘সহিংস বিক্ষোভকারীদের সামনে সরকারের আরেকটি পূর্ণাঙ্গ আত্মসমর্পণ’ হিসেবে।

টিএলপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত খাদিম রিজভির ছেলে সাদ হোসেন রিজভি। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পাঞ্জাবের কারাগারে বন্দি তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক অধ্যাদেশের অধীনে গ্রেপ্তার হন সাদ রিজভি।

গত বছর ফ্রান্সের একটি রম্য পত্রিকা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছিল। ওই ঘটনায় ইসলাম ধর্মের অবমাননার অভিযোগে গণবিক্ষোভের আয়োজন করেছিল টিএলপি। দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তানে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরত পাঠানোর এবং ফ্রান্স থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধের।

শুধু পাকিস্তানেই নয়, মহানবী (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকে ধর্মীয় অবমাননা হিসেবে নিয়েছিল বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা। এর জেরে ২০২০ সালের অক্টোবরে বিশ্বব্যাপী ‘ফরাসি পণ্য বর্জন’ কর্মসূচির মুখে পড়ে ফ্রান্স সরকার।

পরে মহানবী (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র পুনরায় প্রকাশে রম্য পত্রিকাটির নেয়া সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ। এতে ক্ষুব্ধ টিএলপি পাকিস্তানজুড়ে ফ্রান্স-বিরোধী কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।

চলতি বছরের এপ্রিলে টিএলপির ফ্রান্স-বিরোধী কর্মসূচির সময় অচল হয়ে পড়ে লাহোর। সহিংসতায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ছয় পুলিশ কর্মকর্তার।

এ বিভাগের আরো খবর