পূজার পর কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ঊর্ধ্বমূখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
টিকার দুই ডোজ নেয়ার পরও অনেকে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে কঠোরভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। সেজন্য টেস্ট (পরীক্ষা), ট্রেকিং এবং ট্রিটমেন্টের ওপর বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।
শনিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যের সব জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলা পুলিশ সুপাররা।
কলকাতা, নদীয়া, পুরুলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান, দার্জিলিংয়ে সংক্রমণের হার বেশি। সেজন্য আলাদা করে এই জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিন নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জারি করা একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা এই সমস্ত জেলাগুলোর জন্য যাতে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে না চলে যায়। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রয়োজনে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে। নৈশ কারফিউ কঠোরভাবে পালন করতে হবে। মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক করতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশকে কঠোর হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। টিকা দেয়ার হার বাড়াতে হবে। সঠিকভাবে করোনা পজিটিভ রোগীদের ট্র্যাক করতে হবে।
শনিবারের রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৭৪ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। শুক্রবারের তুলনায় আক্রান্ত হয়েছে এক শ জনের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮০৮ জন।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের হিসাবে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬৬ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৪৫ জনের। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ১৫৯টি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২ দশমিক ২৬ শতাংশ।