অসিত পুরকায়স্থ, কলকাতা
ত্রিপুরার পর গোয়া। ভারতের এই রাজ্যটিতেও রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সম্প্রসারণে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে আগামী সপ্তাহে গোয়া সফরে যাচ্ছেন তিনি।
সূত্রের খবর, রাজ্যের উত্তরে পার্বত্য অঞ্চলে আসন্ন সফর শেষে ২৮ অক্টোবর গোয়া যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসনে জয়লাভের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে সাংগঠনিক কর্মপরিধি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। সে তালিকায় প্রথমেই আছে ত্রিপুরা ও গোয়া।
তৃণমূলের রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোয়ায় পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
তাদের হাত ধরে এরই মধ্যে গোয়ার কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন জাতীয় পর্যায়ের দুই খেলোয়াড় ডেনজিল ফ্র্যাঙ্কো ও লেনিন ডা গামা।
একই সঙ্গে গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো আটজন বিধায়ক সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় পৌঁছে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
পূজার সময় তৃণমূল কংগ্রেস তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় খুলেছে গোয়ায়। এরপরই সেখানে যাচ্ছেন মমতা। গোয়ায় তার বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। দুইদিনের সফর শেষে ১ নভেম্বর তিনি কলকাতা ফিরতে পারেন বলে সূত্রের বরাতে জানা গেছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রোববার সেখানে যাওয়ার কথা মমতার। পরদিন জলপাইগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।
এরপর মঙ্গল ও বুধবার কার্শিয়াং যাওয়ার কথা তার। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে ২৮ অক্টোবর বুধবার কলকাতা ফিরেই তিনি গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে জানা গেছে।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর গোয়ায় সংগঠনের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তৃণমূল সভানেত্রী। সবমিলিয়ে গোয়ায় মমতার সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।