বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারত-নেপালে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ২০০

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:০৬

চলতি বন্যায় ভারত ও নেপাল দুই দেশেই উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রস। নেপালে সংস্থাটির কর্মকর্তা আজমত উল্লা বলেন, ‘নেপাল ও ভারত করোনাভাইরাস মহামারি আর ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ চিড়েচ্যাপ্টা হচ্ছে। কয়েক কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।’

অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নেপালে সোমবার থেকে দুইদিনে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৯৯ জনের। প্রতিবেশী ভারতেও মুষলধারে বৃষ্টির পর বন্যা ও ভূমিধসের ধ্বংসযজ্ঞে ছয়দিনের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৮৮ জনে।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রতি মুহূর্তেই দেশ দুটিতে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক, পানির তোড়ে ভেঙে গেছে সেতু, ভূমিধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর।

নেপাল পুলিশ জানিয়েছে, দেশটিতে কমপক্ষে ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে মাঠে রয়েছে উদ্ধারকর্মীরা। প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলেই শঙ্কা তাদের।

পুলিশের মুখপাত্র বসন্ত বাহাদুর কুনওয়ার জানিয়েছেন, নেপালে প্রাণহানির বেশিরভাগই ঘটেছে দেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে অঞ্চলগুলোতে।

সন্ধান ও উদ্ধারকর্মীরা বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে এবং আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। বৃষ্টি-বন্যাজনিত দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কমপক্ষে ৩৫ জন চিকিৎসাধীন আছে।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর বৃহস্পতিবার বন্যাকবলিত পশ্চিমাঞ্চল পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্ধার, পুনর্বাসন ও ত্রাণ কার্যক্রমে গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনের শেষভাগ থেকে নেপালে বৃষ্টি কমা শুরু হতে পারে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে হতে প্রায় সপ্তাহখানেক লেগে যেতে পারে।

অন্যদিকে, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় গত শুক্রবার থেকে এবং উত্তরের উত্তরাখণ্ডে রোববার থেকে টানা বৃষ্টির পর বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পাহাড়ি ঢল আর ভূমিধসে কেরালায় কমপক্ষে ৪২ জন আর উত্তরাখণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দুটি রাজ্যেই সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে গঙ্গা নদীতে পানি বিপৎসীমার ওপরে। ছবি: এএফপি

ভারতে হিমালয়ের কোলঘেঁষা উত্তরাঞ্চল বন্যা ও ভূমিধসপ্রবণ। বিজ্ঞানীদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে হিমবাহ গলতে থাকায় অঞ্চলটিতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা বাড়ছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই উত্তরাখণ্ডে আকস্মিক বন্যায় প্রায় দুই শ মানুষের মৃত্যু হয়। ভেসে যায় অসংখ্য বাড়িঘর। ২০১৩ সালে একই রাজ্যে বন্যায় মারা গেছিল প্রায় ছয় হাজার মানুষ।

আর ২০১৮ সালে প্রলয়ংকরী বন্যার শিকার হয় কেরালা। সে বছর বর্ষার মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে রাজ্যটিতে প্রাণ যায় চার শতাধিক মানুষের, গৃহহীন হয় লাখো মানুষ।

এ বছর বর্ষার মৌসুম পার হয়ে যাওয়ার পর অতিবৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দুটিতে। আরব সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

চলতি বন্যায় ভারত ও নেপাল দুই দেশেই উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রস। নেপালে সংস্থাটির কর্মকর্তা আজমত উল্লা বলেন, ‘নেপাল ও ভারত করোনাভাইরাস মহামারি আর ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ চিড়েচ্যাপ্টা হচ্ছে। কয়েক কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর