সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের মধ্যাঞ্চলে একটি সামরিক বাসে বোমা হামলা হয়েছে। এতে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ১৪ জনের।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে। কারণ আহতদের অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিরিয়া প্রায় এক দশকের গৃহযুদ্ধে জর্জরিত হলেও দেশটির রাজধানীতে এ ধরনের হামলা বিরল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় ভোরে জিসর্ আল-রাইস সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার পরপরই হামলার শিকার হয় বাসটি। দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয় তখন।
২০১৭ সালের মার্চের পর দামেস্কে বুধবারের হামলা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল। সাড়ে চার বছর আগের ওই হামলায় নিহত হয়েছিল ৩১ জন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
বুধবারের হামলার দায় এখনও কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহের তির আইএসের দিকেই। চলতি বছর সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সামরিক যানে হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বোমা বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই ও দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটির জানালা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
সানা জানিয়েছে, সেতুতে পুঁতে রাখা তৃতীয় একটি বোমার সন্ধান মিলেছে। সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
এদিকে বাসে বোমা বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পরই বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করেছে সিরীয় সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে আটজন।
এসওএইচআর জানিয়েছে, ইদলিব প্রদেশের আরিহা শহরে এ হামলায় নিহতদের মধ্যে কয়েকজন স্কুলপড়ুয়া শিশুও আছে।
সিরিয়ায় বিদ্রোহী ও জিহাদি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ অঞ্চল ইদলিব। ২০১১ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের চেষ্টা করে আসছে গোষ্ঠীগুলো।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছরের গৃহযুদ্ধে দেশটিতে প্রাণ গেছে সাড়ে তিন লাখ মানুষের। মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই সহিংসতায় গৃহহীন। শরণার্থীদের প্রায় ৬০ লাখ বিভিন্ন দেশে মানবেতর জীবন যাপন করছে।