বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে। আগামী সপ্তাহেই নতুন নামে আবির্ভূত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবসায়িক চর্চার ধরন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনপ্রণেতাদের তোপের মুখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক।
বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথম এ খবর প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ দ্য ভার্জ।
ভার্জের তথ্য অনুযায়ী, এ পদক্ষেপের ফলে ফেসবুক ও ফেসবুকের মালিকানাধীন অন্যান্য ব্র্যান্ড, যেমন ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ, একটি সাধারণ প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে এমনই একটি কাঠামো গ্রহণ করেছিল গুগল। ইন্টারনেটভিত্তিক পণ্য উৎপাদন-বিক্রয় ও সেবাদানকারী বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে অ্যালফাবেট নামের একটি হোল্ডিং কোম্পানির অধীনে পুনর্গঠিত হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ‘গুজব বা জল্পনাকল্পনা’ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
কিন্তু ভার্জ বলছে, আগামী ২৮ অক্টোবর ফেসবুকের বার্ষিক সম্মেলনে কানেক্টে প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলের ঘোষণা দেয়ার পরিকল্পনা করছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। তবে এর আগে বা পরেও ঘোষণাটি আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
জাকারবার্গের হাতে বর্তমানে আছে ‘মেটাভার্স’-এর মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। মেটাভার্সকে বলা হচ্ছে এমন এক ডিজিটাল বিশ্ব, যেখানে মানুষের পক্ষে বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে স্থান পরিবর্তন করা সম্ভব হবে এবং তারা এক ধরনের ভার্চুয়াল পরিবেশে যোগাযোগ করতে পারবে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে ভার্চুয়াল বাস্তবতা (ভিআর) ও অগমেন্টেড বাস্তবতার (এআর) ওপর বিপুল বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাস্তব জগতের মতো কিংবা সম্পূর্ণ ভিন্ন কৃত্রিম অভিজ্ঞতা হলো ভার্চুয়াল বাস্তবতা।
অন্যদিকে, অগমেন্টেড বাস্তবতা বলতে বোঝানো হয় বাস্তব শারীরিক বিশ্বের একটি সম্প্রসারিত সংস্করণকে। প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ভিজুয়াল উপকরণ, শব্দ ও অন্যান্য সংবেদনশীল উদ্দীপনা ব্যবহারের মাধ্যমে অগমেন্টেড বাস্তবতা অর্জন করা সম্ভব। মোবাইল কম্পিউটিং ও ব্যবসায়িক অ্যাপ্লিকেশনসের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগমেন্টেড বাস্তবতার ধারণা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড বাস্তবতাকে দৈনন্দিন জীবনে পরিচিত করতে অকুলাস ভিআর হেডসেট, এআর চশমা, প্রযুক্তি যুক্ত রিস্টব্যান্ডসহ নানা পণ্য তৈরিতে গবেষণা করছে ফেসবুক।