উত্তর কোরিয়া ডুবোজাহাজ থেকে একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। জাপান সাগরে পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়াও নিজস্ব নির্মিত প্রায় একই ধরনের একটি অস্ত্র নিজেদের ভাণ্ডারে যুক্ত করার কয়েক সপ্তাহ পর এ পরীক্ষা চালালো পিয়ংইয়ং।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করে উত্তর কোরিয়া। সেটি ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র’ বলে দাবি করেছিল দেশটি।
গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে হাইপারসনিক বা শব্দের গতিসম্পন্ন এবং দূরপাল্লার মিসাইলও ছিল।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কয়েকটি অস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। বিশেষ করে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও পারমাণবিক অস্ত্রপরীক্ষায় উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে জাতিসংঘের। অতিরিক্ত ভার বহনে, তুলনামূলক বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন বলে ক্রুজ মিসাইলের তুলনায় ব্যালিস্টিক মিসাইল বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করে জাতিসংঘ।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ মঙ্গলবার জানায়, উত্তর কোরিয়ার পূর্বে অবস্থিত বন্দরনগরী সিনপো থেকে সবশেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছে। ওই অঞ্চলে পিয়ংইয়ংয়ের ডুবোজাহাজের ঘাঁটি আছে বলে মনে করা হয়। পূর্ব সাগরের যে অংশে মিসাইলটি পড়েছে, সেটি জাপান সাগর হিসেবেও পরিচিত।
সিউল আরও জানায়, ডুবোজাহাজ থেকেই ব্যালিস্টিক মিসাইলটি ছোড়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার উঁচু থেকে মিসাইলটি প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানান, দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক।