বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্যায় ধ্বংসস্তূপ উত্তরাখন্ড, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ২২:০০

বিখ্যাত মল রোড, নয়না দেবী মন্দির বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কেদারনাথ মন্দির থেকে ফেরার পথে আটকা পড়া ২২ জন তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ অবস্থায় হিমালয়ের কোলঘেঁষা অঞ্চলটিতে প্রায় সব মন্দিরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ স্থগিত রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বদ্রীনাথ চার ধাম যাত্রা। পথে থাকা বদ্রীনাথ মন্দিরগামী তীর্থযাত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।

ভারতের উত্তরাখন্ডে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৩৪ জনে। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি চার লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার।

বন্যায় যারা বাড়িঘর হারিয়েছে, তাদের ১ লাখ ৯০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। গবাদিপশু ও কৃষিজমি হারানো ব্যক্তিদেরও সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে নিখোঁজ অনেকে, তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা তৃতীয় দিনের মতো বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় হেলিকপ্টারে চড়ে বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা।

মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। বন্যায় বাড়িঘর ও সেতুসহ বিপুলসংখ্যক স্থাপনা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।’

ধামির সঙ্গে পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পাহাড়ি রাজ্যটিতে বন্যার তোড়ে সড়ক, ভবন ও সেতু তলিয়ে এবং ভেঙে গেছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বেশ কিছু নদীতে।

ভূমিধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পর্যটন শহর নৈনীতালের। বন্যায় মৃতদের মধ্যে মঙ্গলবার শুধু নৈনীতালেই ভবনধসে প্রাণ গেছে কমপক্ষে সাতজনের, উধাম সিংনগরে বন্যার পানিতে ভেসে গেছেন একজন। এদিন প্রাণ গেছে মোট ১১ জনের।

পাঁচজন মারা গেছেন সোমবার, যাদের মধ্যে তিনজন নেপাল থেকে আসা শ্রমিক।

২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টির পর বিপৎসীমা ছাড়িয়ে রেকর্ড উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে নৈনীতাল হ্রদের পানি। কালাধুঙ্গি, হালদোয়ানি ও ভাওয়ালিসংলগ্ন সড়কগুলোতেও ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপ পড়ে থাকায় যান চলাচল বন্ধ আছে। ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বদ্রীনাথ মহাসড়কে।

রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় দুর্যোগ প্রশমন বাহিনী এনডিআরএফ ও সেনাবাহিনী সমন্বিতভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিখ্যাত মল রোড, নয়না দেবী মন্দির বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি হোস্টেল। কেদারনাথ মন্দির থেকে ফেরার পথে আটকা পড়া ২২ জন তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এ অবস্থায় হিমালয়ের কোলঘেঁষা অঞ্চলটিতে প্রায় সব মন্দিরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ স্থগিত রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বদ্রীনাথ চার ধাম যাত্রা। পথে থাকা বদ্রীনাথ মন্দিরগামী তীর্থযাত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।

আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তীর্থযাত্রা স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি।

বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সব স্কুল। পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পর্বতারোহণ, ক্যাম্পিংসহ সব ধরনের রোমাঞ্চযাত্রা।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্যার ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহ ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর