বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৩২

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশের সহিংসতা নিয়ে বিজেপি কোনো রাজনৈতিক চাল দেয়ার পরিকল্পনায় করছে। না হলে কেন শুভেন্দু বলবেন যে বাংলাদেশের ঘটনার পর আমাদের ভোট বাড়বে? বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ভোটে জেতার আত্মবিশ্বাস বাড়লে তো স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে সমীকরণটা আসলে ঠিক কী?’

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের আইনপ্রণেতারা। কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তাদের; প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে।

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ পত্রিকায় ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ শীর্ষক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘আমরা বিস্মিত। ভারতের যে প্রধানমন্ত্রী ভোট টানার অঙ্কে প্রচার সারতে বাংলাদেশে গিয়ে পূজা দিয়ে আসলেন, তিনি নিষ্ক্রিয় কেন? নাকি বাংলাদেশে হিন্দু নিগ্রহের সুড়সুড়ি দিয়ে এপার বাংলার হিন্দু আবেগ উসকে ভোট টানার চেষ্টা এটা? বাংলাদেশের ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চাই।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ‘জাগো বাংলা’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘শকুনের রাজনীতি বিজেপির’ শীর্ষক একটি নিবন্ধেও।

বিজেপির সমালোচনা করে এতে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া আপত্তিকর কাজের বিরুদ্ধে যখন বাংলাদেশেই প্রবল প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, তখনও নির্লজ্জের মতো এ নিয়ে শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি।’

জাগো বাংলায় আরও লেখা হয়েছে, ‘এ রাজ্যে বিজেপি লাটে উঠেছে। এখানে ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করতে বাংলাদেশের হামলাকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

‘তাহলে বাংলাদেশের ঘটনার পিছনে কী চক্রান্ত চলছে, কারা-কেন-কীভাবে পূজায় আক্রমণের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে, সেসব ঘটনার যথাযথ তদন্ত দরকার।’

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ধারাবাহিক ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশের সহিংসতা নিয়ে বিজেপি কোনো রাজনৈতিক চাল দেয়ার পরিকল্পনায় করছে। না হলে কেন শুভেন্দু বলবেন যে বাংলাদেশের ঘটনার পর আমাদের ভোট বাড়বে?

‘বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ভোটে জেতার আত্মবিশ্বাস বাড়লে তো স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে সমীকরণটা আসলে ঠিক কী?’

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য কুণালের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি কোথায়, কোন পূজা দিতে গিয়েছিলেন, সেসব জানার বা বোঝার মতো শিক্ষা তৃণমূল নেতাদের নেই। তাই এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর