ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৩৫ জনে। আরও অনেক প্রাণহানির শঙ্কা জানিয়েছে প্রশাসন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যের বড় অংশে আরও দুই থেকে চার দিনের জন্য ইয়েলো অ্যালার্ট বা তৃতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রেখেছে আবহাওয়া বিভাগ। বিশেষ করে বুধবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে রয়েছে শঙ্কা।
প্রবল বন্যার কারণে ধাপে ধাপে কয়েকটি বাঁধ খুলে দিয়ে পানি বেরিয়ে যেতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে বন্যাকবলিতদের সন্ধান ও উদ্ধারে সোমবারও সেনা ও নৌবাহিনী কাজ করছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি এবং নিখোঁজ অনেকে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোট্টায়াম ও ইদুক্কি জেলা। কোট্টায়ামে ছয় সদস্যের একটি পরিবারের সবাই নিখোঁজ।
প্রতিবছর বন্যার ধ্বংসযজ্ঞ দেখলেও এবারের মতো পরিস্থিতি গত ১০ বছরে দেখেননি বলে জানিয়েছেন কেরালার অনেক বাসিন্দা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বাসিন্দাদের বৃষ্টি কমলেও উচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। শতাধিক অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে প্রলয়ংকরী বন্যার শিকার হয় কেরালা। সে বছর বর্ষার মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে রাজ্যটিতে প্রাণ যায় চার শতাধিক মানুষের, গৃহহীন হয় লাখো মানুষ।
তবে এ বছর বর্ষার মৌসুম পার হয়ে যাওয়ার পর অতিবৃষ্টি হচ্ছে কেরালায়। আরব সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শবরীমালা মন্দিরে রাজ্যের সবচেয়ে বড় তীর্থোৎসব স্থগিত করা হয়েছে।