বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌনবৃত্তি বন্ধের অঙ্গীকার স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:২৬

স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া শহরে রোববার নিজের দল স্প্যানিশ সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির তিন দিনের কংগ্রেস শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ যৌনবৃত্তি বন্ধের অঙ্গীকার করেন।

যৌনবৃত্তিকে ‘অবৈধ’ হিসেবে ঘোষণা দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। এ পেশা নারীদের দাসে পরিণত করে বলে মন্তব্য তার।

দেশটির ভ্যালেন্সিয়া শহরে স্থানীয় সময় রোববার নিজের দল স্প্যানিশ সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির তিন দিনের কংগ্রেস শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে সানচেজ এসব বার্তা দেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৫ সালে যৌনবৃত্তিকে বৈধতা দেয় স্পেন। ২০১৬ সালে জাতিসংঘ জানায়, দেশটির যৌনশিল্পের মূল্য ৪.২ বিলিয়র ডলার।

২০০৯ সালের এক জরিপে জানা যায়, প্রতি তিনজনের একজন স্প্যানিশ পুরুষ সহবাসের জন্য অর্থ দেন।

জাতিসংঘের ২০১১ সালের এক গবেষণা বলছে, যৌনবৃত্তির কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে থাইল্যান্ড ও পুয়ের্তোরিকো।

স্পেনে এ মুহূর্তে অবাধ যৌনবৃত্তির চর্চা হচ্ছে। জনপরিসরে যৌনকাজ না করলে স্বেচ্ছায় এতে অংশ নেয়া নারীদের শাস্তির বিধান দেশটিতে নেই।

অবশ্য যৌনকর্মী ও সম্ভাব্য ক্লায়েন্টের মধ্যে দালালি করা স্পেনে অবৈধ।

১৯৯৫ সালে বৈধতা পাওয়ার পর স্পেনে যৌনশিল্পের ব্যাপক বিকাশ হয়। দেশটিতে প্রায় তিন লাখ নারী বর্তমানে এ পেশার সঙ্গে যুক্ত।

২০১৯ সালে নির্বাচনি মেনিফেস্টোতে যৌনবৃত্তি অবৈধ হিসেবে ঘোষণা দেয়ার অঙ্গীকার করেছিল সানচেজের দল। নারী ভোট বেশি পেতে দলটি ওই অঙ্গীকার করে বলে মনে করা হয়।

ওই সময় সানচেজের সোশ্যালিস্ট পার্টি তাদের নির্বাচনি মেনিফেস্টোতে বলেছিল, নারী ও পুরুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসমতার অন্যতম নিষ্ঠুরতম দিক হচ্ছে যৌনবৃত্তি। এ ছাড়া এটি নারীর প্রতি সহিংসতার সবচেয়ে জঘন্য রূপ।

নির্বাচনে সানচেজের দল জিতেছে দুই বছর হলো। এখন পর্যন্ত যৌনবৃত্তি বন্ধের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি দেশটির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে।

এ বিভাগের আরো খবর