কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিক হত্যায় কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের (জেকেএনসি) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ।
কাশ্মীরিদের নামে কুৎসা রটাতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক হামলাগুলো চালানো হয় বলেও জানান তিনি।
কাশ্মীরের বর্ষীয়ান নেতা ফারুক রোববার সাংবাদিকদের কাছে এসব মন্তব্য করেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টার লক্ষ্যে সম্প্রতি এই হামলাগুলো হয়।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক এসব হত্যা দুঃখজনক। চক্রান্ত করে এসব ঘটানো হয়েছে। কাশ্মীরের সাধারণ জনগণ কোনোভাবেই এসব হামলায় জড়িত নয়।’
শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর ও পুলওয়ামা জেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিহারের দুই শ্রমিক নিহত হন।
কাশ্মীরে ২ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত পৃথক ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চার সদস্যসহ ১১ বেসামরিক নাগরিক সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান।
ওই সব ঘটনায় কাশ্মীরজুড়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক বিষয়ে ফারুক জানান, দুই দেশের বন্দুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগতম।
তিনি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যাতে মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে, আমাদের তা প্রার্থনা ও আশা করা উচিত। এটি হলে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব।’
জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ৩০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।
সাম্প্রতিক হামলার পর জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে এখন পর্যন্ত ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সন্দেহে প্রায় ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ।
পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের ভাষ্য, গত এক সপ্তাহে ১৪ জন ‘সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির পর ১৩ সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে ৯টি সংঘর্ষে মারা গেছে। আমরা ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে শ্রীনগরে পাঁচ সন্ত্রাসীর মধ্যে তিনজনকে হত্যা করতে সক্ষম হই।’