বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিল গেটস-ওয়ারেন বাফেটের সমান সম্পত্তি ইলন মাস্কের

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:২৮

সম্পত্তির দিক থেকে মাস্কের ধারেকাছেও নেই বেজোস, গেটস বা বাফেট। তবে ধারণা করা হয়, মানবকল্যাণে বিপুল পরিমাণ অর্থ দান না করছে সম্পত্তির দিক থেকে মাস্কের অনেক কাছাকাছি থাকতেন গেটস ও বাফেট। অনেক বছর ধরে বিভিন্ন দাতব্য কাজে কয়েক হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছেন এই দুই ধনকুবের। অন্যদিকে নিজের বিশাল সম্পত্তির ভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও দাতব্য কাজে অর্থ ব্যয় করেন না বলে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত মাস্ক।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েই থেমে নেই ইলন মাস্ক; শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য দুই ব্যক্তি বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেটের সম্পত্তির সমপরিমাণের মালিক মাস্ক একাই।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ৫০ বছর বয়সী ইলন মাস্কের সম্পত্তির মূল্য বর্তমানে ২৩ হাজার কোটি ডলার।

বিশ্বের এক সময়ের শীর্ষ দুই ধনী বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্যের যোগফল ২৩ হাজার কোটি ডলার।

বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় বর্তমানে চতুর্থ অবস্থানে বিল গেটস ও দশম অবস্থানে ওয়ারেন বাফেট আছেন। মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গেটসের সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি ডলার। বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী বাফেটের আছে ১০ হাজার কোটি ডলারের সম্পত্তি।

২০১৭ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর অবস্থানটি ধরে রেখেছিলেন সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেজোসকে ছাড়িয়ে শীর্ষ ধনী হন মাস্ক।

বর্তমানে শীর্ষ ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেজোসের সম্পত্তির পরিমাণ ১৯ হাজার কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ সম্পত্তির দিক থেকে মাস্কের ধারেকাছেও নেই বেজোস, গেটস বা বাফেট।

তবে ধারণা করা হয়, মানবকল্যাণে বিপুল পরিমাণ অর্থ দান না করছে সম্পত্তির দিক থেকে মাস্কের অনেক কাছাকাছি থাকতেন গেটস ও বাফেট। অনেক বছর ধরে বিভিন্ন দাতব্য কাজে কয়েক হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছেন এই দুই ধনকুবের।

অন্যদিকে নিজের বিশাল সম্পত্তির ভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও দাতব্য কাজে অর্থ ব্যয় করেন না বলে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত মাস্ক। যদিও তার দাবি, দানের বিষয়ে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চান তিনি।

অবশ্য চলতি বছর কার্বণবিরোধী একটি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে ১৫ কোটি ডলার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মাস্ক। তার প্রকাশ্য দাতব্য কর্মসূচির মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অংকের অর্থ।

পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও বিদ্যুৎচালিত গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা পুঁজিবাজারে আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে যাওয়ায় চলতি বছর মাস্কের ঝুলিতে যোগ হয়েছে ছয় হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পত্তি।

এ ছাড়া পুঁজিবাজারে মাস্কের মালিকানাধীন আরেকটি প্রতিষ্ঠান- মহাকাশযান প্রস্তুতকারক ও মহাকাশযাত্রা সেবাদানকারী স্পেসএক্স সম্প্রতি কিছু শেয়ার বিক্রি করে, যার মূল্য ১০ হাজার কোটি ডলার।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তির মাধ্যমে আরও এক হাজার ১০০ কোটি ডলার যুক্ত হয়েছে স্পেসএক্সের ঝুলিতে।

এ বিভাগের আরো খবর