ভারি বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধসে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের ইদুক্কি ও কোত্তায়াম জেলায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে ১২ জন।
রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা দুর্যোগ মোকাবিলায় কেরালার বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে। দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স প্লাবিত অঞ্চলে তাদের ১১টি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ছাড়া সতর্কতার অংশ হিসেবে রোববার ও সোমবার কেরালার পাথানামথিত্তা জেলার সাবারিমালা মন্দিরে ভক্তদের না যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এনডিটিভির রোববারের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কেরালার বেশির ভাগ এলাকায় শনিবার সারারাত টানা বৃষ্টি হয়। তবে রোববার সকালে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কমে। নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কোত্তায়াম জেলায় প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা বিঘ্নিত হচ্ছে।
কেরালা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান উদ্ধার তৎপরতা বাড়ানোর বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন।
তিনি জানান, কোত্তায়ামসহ অন্যান্য বন্যাকবলিত জেলায় আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেয়া হবে।
করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্প বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ান। ওই সব ক্যাম্পে মাস্ক, স্যানিটাইজার, খাবার পানি ও ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যারা করোনা প্রতিরোধী টিকা নেননি ও জটিল রোগে ভুগছেন, ক্যাম্পে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কেরালা উপকূলে আরব সাগরের দক্ষিণ-পূর্বে গত কয়েক দিনে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে রাজ্যটিতে ভারি বর্ষণ হচ্ছে বলে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ সোমবার খোলার কথা থাকলেও ভারি বর্ষণ ও বন্যার কারণে সেসব এখন বুধবার খুলবে।
কেরালার ওয়াইয়ানাদ জেলার সংসদ সদস্য ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটবার্তায় বলেন, ‘কেরালার জনগণ আমার চিন্তায় রয়েছেন। অনুগ্রহ করে আপনারা সবাই নিরাপদে ও সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চলুন।’
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিনা জর্জ পাথানামথিত্তা জেলার নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা মূল্যায়নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। ওই জেলার পরিস্থিতি পার্শ্ববর্তী কোত্তায়াম জেলার মতোই।
কোত্তায়াম জেলায় ভারি বর্ষণে বিভিন্ন বাঁধসংলগ্ন এলাকায় পানির উচ্চতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানিয়ার বাঁধের গেট খুলে দেয়া হয়েছে।