মাদক সাম্রাজ্যের বাদশা বলা হয় কলোম্বিয়ার পাবলো এস্কোবারকে। ১৯৯৩ সালে তাকে ধরার জন্য গঠিত বিশেষ বাহিনী সার্চ ব্লকের এক অভিযানে নিহত হয়েছিলেন পাবলো।
মৃত্যুর আগে কোকেন ব্যবসার মধ্য দিয়ে বিপুল অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়েছিলেন। অনেকেই দাবি করেন, সেই সময়ে পাবলোই ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি ব্যক্তি। কলম্বিয়ায় বসে আমেরিকায় কোকেন চালানের নেতৃত্ব দিতেন তিনি। চলতেন নিজের খেয়ালখুশি মতো।
এমনই এক খেয়াল থেকে নিজ মালিকানাধীন অন্তত ৭ হাজার একরের একটি বিশাল এলাকায় কতগুলো জলহস্তী পালতে শুরু করেন পাবলো। কারণ ওই এলাকাটিতে বেশ কিছু লেকও ছিল।
পাবলো নিহত হওয়ার পরও তার জলহস্তীরা এখনও টিকে আছে। শুধু টিকে থাকাই নয়, এরা বংশবৃদ্ধি করে এখন অনেক হয়ে গেছে। এদের কাছ থেকে দেশের জলাভূমিগুলোকে নিরাপদ রাখাই এখন কলম্বিয়ার সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
পাবলোর মৃত্যুর পর তার সেই এলাকাটি সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল। পরে তিনটি মাদি জলহস্তী ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল। কলম্বিয়ায় জলহস্তীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ওই তিনটি জলহস্তীকেও দায়ী করা হয়। কারণ এগুলো ছিল উচ্চ উৎপাদনশীল।
গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, এখনই জন্ম নিয়ন্ত্রণ না করলে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশটিতে জলহস্তীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে এস্কোবারের এলাকাটিতে থাকা ৮০টি জলহস্তীর মধ্যেই ২৪টিকে ওষুধ প্রয়োগ করে খোজা করা হয়েছে।
এস্কোবারের নিজস্ব সে সাফারি পার্কে শুধু জলহস্তীই নয়, জেব্রা, হাতি, উটপাখি, উট ও জিরাফও ছিল।