সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ মিটু লিখে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের কথা অকপটে বলে আসছেন চীনের নারীরা।
তা সত্ত্বেও দেশটির করপোরেট নেতারা ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কর্মস্থলে নারীদের যৌন নির্যাতন ও হয়রানি কমাতে এবং জেন্ডার সমতা বাড়াতে কার্যকর নীতি গ্রহণ বা বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।
অধিকারকর্মীদের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
চীনের আইনজীবী ও অধিকারকর্মীদের ভাষ্য, কর্মস্থলে নারীদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যথোপযুক্ত উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীদের প্রশ্ন, কবে তাদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।
নারী কর্মীদের ওপর হয়রানি বন্ধে অর্থপূর্ণ নীতি গ্রহণে ব্যর্থতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাবমূর্তি ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষিত চীনা নারীদের এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলারও শঙ্কা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চীনের আলোচিত এক নারী অধিকারকর্মী বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান নারী কর্মীদের ওপর হয়রানি বন্ধে নতুন কোনো নীতি গ্রহণ করেছে, এমনটা আমি শুনিনি। বরং যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা অনেকটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।’
চীনের অধিকারকর্মীরা বলছেন, যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর নীরবতা, রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব না দেয়া ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে উল্টো স্পষ্টভাবে অভিযোগকারীদের দিকেই আঙুল তোলার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের যন্ত্রণার কথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগী নারীরা।
এ ছাড়া আদালতের শুনানি ও পুলিশি তদন্তে স্বচ্ছতার অভাব থাকায় যোগাযোগমাধ্যমে বিচারের দাবি করা ছাড়া গত্যন্তর দেখছেন না তারা।
চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা, পরিবহন কোম্পানি ডিডি, মদ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোয়েচো মাউতাইসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারীরা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।