বিদেশি নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২০ মাসের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হচ্ছে আগামী মাসে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ডোজ সম্পন্ন করা ব্যক্তিদের জন্য ৮ নভেম্বর থেকে দরজা খুলছে দেশটি। ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। বিশ্বের ৩৩টি দেশের নাগরিকরা পাবেন এ সুবিধা।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সবশেষ হালনাগাদকৃত ভ্রমণ নীতিমালা প্রকাশ করে হোয়াইট হাউজ। এতে বলা হয়েছে যে, টিকা নেয়া থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হতে হবে ভ্রমণেচ্ছু ব্যক্তিদের।
বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২০২০ সালের মার্চে বিদেশি ভ্রমণকারীদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ পদক্ষেপের ফলে সেসব নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা মাথায় রেখেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলা হবে।’
করোনাকালীন বিদ্যমান বিধিনিষেধ অনুযায়ী কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ১৪ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ নেই বিদেশি নাগরিকদের। এসব দেশের তালিকায় আছে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ, চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান ও ব্রাজিল।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফডিএ) অনুমোদিত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি ব্যবহারের তালিকাভুক্ত করোনার যে কোনো একটি টিকা গ্রহণ করলেই তাদের প্রবেশ করতে দেবে আমেরিকান প্রশাসন।
নতুন নিয়মে ডব্লিউএইচও অনুমোদিত যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং চীনের সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মের টিকা গ্রহণকারীরা নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন।
নতুন নিয়ম নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ করোনার উচ্চ সংক্রমণে জর্জরিত ১৫০টি অন্য দেশের নাগরিকরা এখনও অবাধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছে।
বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় অনেক দেরিতে ভ্রমণ নীতিমালা শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিয়ে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তাপও দেখা দিয়েছিল ওয়াশিংটনের।
প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর থেকে মঙ্গলবার সীমান্তপথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এ সিদ্ধান্ত কেবল পূর্ণ টিকা গ্রহণকারীদের ওপর প্রযোজ্য। টিকা না নেয়া ব্যক্তিদের ওপর সীমান্তপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।