বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৯ মাস পর ভারতে ট্যুরিস্ট ভিসা চালু

  •    
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৩৫

ট্যুরিস্ট ভিসা দেয়া শুরু করলেও নতুন নির্দেশনাতেও কিছু বিধিনিষেধ রাখছে ভারত। জানিয়েছে, ১৫ অক্টোবরের আগে সরবরাহকৃত সব ধরনের ট্যুরিস্ট ভিসাই অকার্যকর গণ্য হবে। অর্থাৎ বিদেশি পর্যটকদের আগের ভিসার মেয়ার থেকে গেলেও এখন ভারতে প্রবেশে নতুন করে ভিসা নিতে হবে। অবশ্য ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিদেশি পর্যটকদের করোনা পরীক্ষা, টিকা ও কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত নির্দেশনা কী হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি নয়া দিল্লি।

দেড় বছরের বেশি সময় পর বিদেশি পর্যটকদের ট্যুরিস্ট ভিসা দিতে শুরু করেছে ভারত। কেবল ভাড়া করা বা ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে ভারতে যাবেন, শুক্রবার থেকে কেবল এমন পর্যটকরা ঢুকতে পারবেন দেশটিতে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দৈনিক সংক্রমণ কমতে থাকায় করোনাভাইরাস মহামারিকালীন বিধিনিষেধ শিথিলের প্রেক্ষিতে সীমান্ত খুলে দিয়েছে ভারত। তবে প্রাথমিকভাবে শুধু চার্টার্ড ফ্লাইটে ভারতগামীরাই ভিসা পাচ্ছেন।

এক মাস পর থেকে এ সুবিধার পরিসর আরও বাড়বে। বাণিজ্যিক বিমানে চড়ে ভারতগামী পর্যটকরা ভিসা পাবেন ১৫ নভেম্বর থেকে।

মহামারিকালীন বিধিনিষেধের কারণে গত ১৯ মাস ধরে ভারতে পা পড়েনি কোনো বিদেশি পর্যটকের। ২০২০ সালের মার্চে নরেন্দ্র মোদির সরকার মহামারির কারণে লকডাউন জারি এবং দেশের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে দেশটিতে ট্যুরিস্ট ভিসা দেয়া বন্ধ ছিল।

গত কয়েক মাস ধরে কেবল বিদেশি কূটনীতিক ও ব্যবসায়িক কারণে হাতেগোণা কিছু পেশাজীবীকে বিশেষ ভিসা দিয়েছে ভারত।

চলতি মাসের শুরুতেই বিদেশি পর্যটকদের ধাপে ধাপে ট্যুরিস্ট ভিসা দিতে শুরু করার ঘোষণা দেয় ভারত সরকার। দেশটিতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারে নেমে এসেছে, যা পাঁচ থেকে ছয় মাস আগেও ছিল প্রায় চার লাখ।

চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কায় করোনায় সংর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখে ভারত।

ভারতে মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশের বেশি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার কমপক্ষে এক ডোজ নিয়েছেন।

কিন্তু সন্তোষজনক পরিস্থিতি এখনও আসেনি বলে সতর্ক করেছেন ভারতের বিশেষজ্ঞ ও সরকারি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, মহামারির তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানলে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো করোনা ছড়ানোর কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে।

মহামারির তৃতীয় ধাক্কা অনিবার্য বলে শঙ্কা ভারতীয় স্বাস্থ্যবিদদের।

এদিকে, বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে ভারতের পর্যটনসংশ্লিষ্টদের মধ্যে। কারণ দেশটিতে পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ারও সময় এখন। পর্যটনের সঙ্গে জড়িত ভারতীয় পেশাজীবীদের প্রত্যাশা, এবার ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরবে খাতটিতে।

ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ভারতে তাজমহলের মতো সপ্তাশ্চর্য, প্রাচীন মন্দির ও দুর্গের মতো শৈল্পিক স্থাপনা, হিমালয়ের কোল ঘেঁষে থাকা বরফে ঢাকা পর্বত এবং পশ্চিম ও দক্ষিণে সমুদ্র সৈকত বিদেশি পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ। বৈশ্বিক মহামারির কারণে গত দেড় বছর ধরে এসব পর্যটনকেন্দ্র ছিল প্রাণহীন।

ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর করোনার কারণে অর্থনীতি অচল হয়ে যাওয়ায় দেশটিতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২৮ লাখে নেমে এসেছিল। ২০১৯ সালেও এ সংখ্যা ছিল প্রায় দুই কোটি।

ভারতে মোট বার্ষিক প্রবৃদ্ধির প্রায় সাত শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। এ খাত সংশ্লিষ্ট পেশায় জড়িত কয়েক কোটি মানুষ। অর্থনীতিতে নজিরবিহীন সংকটের কারণে এ বছর পর্যটন খাতের সম্ভাব্য রাজস্ব ধরে রাখতে মরিয়া নয়া দিল্লি।

এ অবস্থায় ট্যুরিস্ট ভিসা দেয়া শুরু করলেও নতুন নির্দেশনাতেও কিছু বিধিনিষেধ রাখছে ভারত। জানিয়েছে, ১৫ অক্টোবরের আগে সরবরাহকৃত সব ধরনের ট্যুরিস্ট ভিসাই অকার্যকর গণ্য হবে। অর্থাৎ বিদেশি পর্যটকদের আগের ভিসার মেয়ার থেকে গেলেও এখন ভারতে প্রবেশে নতুন করে ভিসা নিতে হবে।

অবশ্য ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিদেশি পর্যটকদের করোনা পরীক্ষা, টিকা ও কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত নির্দেশনা কী হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি নয়া দিল্লি।

এ বিভাগের আরো খবর