বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্ত্রীর চোখকে আরাম দিতে ঘুরন্ত বাড়ি তৈরি

  •    
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:২৭

ঘরের ভেতর থেকে একই জানালা দিয়ে কতক্ষণ ভুট্টার ক্ষেত, কতক্ষণ কৃষি জমি, কিছু সময় বন, এরপর আবার নদীও দেখা যায়। কতক্ষণ পর দৃশ্যপট বদলাতে চান, সে অনুযায়ী সময়ও নির্ধারণ করে দেয়ার সুযোগ আছে। উদ্ভাবক কুজিক বলেন, ‘সর্বনিম্ন গতিতে ২৪ ঘণ্টায় পূর্ণ চক্রাকারে ঘুরতে সক্ষম বাড়িটি। আর দ্রুততম সময়ে ২২ সেকেন্ডেই এক পাক ঘুরে যেতে পারবে এ বাড়ি।’

স্ত্রী যেন বাড়িতে বসে একঘেয়েমিতে না ভোগেন, প্রতিবারই জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে একই দৃশ্য না দেখেন, তা নিশ্চিতে ঘুরন্ত বাড়ি তৈরি করেছেন এক স্বামী। অভিনব ঘটনাটি বসনিয়ার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘরের ভেতরে বসে বাইরের দৃশ্যে বৈচিত্র্য চাইতেন স্ত্রী। তার ইচ্ছা পূরণেই নিজেদের পারিবারিক বাড়িটি স্থির না থেকে যেন ঘুরতে থাকে, তা নিশ্চিত করেছেন স্বামী।

৭২ বছর বয়সী ভোজিন কুজিক একজন স্বশিক্ষিত উদ্ভাবক। তিনি জানান, বাড়িটিতে বসে এখন একই জানালা থেকে এক মুহূর্তে সূর্যোদয় দেখলে পরমুহূর্তে পথচারীদেরও দেখতে পারবেন স্ত্রী।

কুজিক বলেন, ‘স্ত্রীর নালিশ শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েকবার পারিবারিক বাড়ির নকশাও বদলে ঢেলে সাজিয়েছি। তাতেও শান্তি না হওয়ায় শেষমেশ ঘুরন্ত বাড়ি তৈরির আশ্বাস দিই তাকে। যে বাড়িটি স্ত্রীর ইচ্ছেমতোই ঘুরবে।’

কুজিকের বাড়িটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বসনিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর সারবাকের উর্বর সমভূমি অঞ্চলে অবস্থিত বাড়িটি। কুজিকের নকশা অনুযায়ী প্রায় সাত মিটার একটি অক্ষের চতুর্দিকে ঘুরপাক খায় বাড়িটি।

এতে ঘরের ভেতর থেকে একই জানালা দিয়ে কতক্ষণ ভুট্টার ক্ষেত, কতক্ষণ কৃষি জমি, কিছু সময় বন, এরপর আবার নদীও দেখা যায়। কতক্ষণ পর দৃশ্যপট বদলাতে চান, সে অনুযায়ী সময়ও নির্ধারণ করে দেয়ার সুযোগ আছে।

কুজিক বলেন, ‘সর্বনিম্ন গতিতে ২৪ ঘণ্টায় পূর্ণ চক্রাকারে ঘুরতে সক্ষম বাড়িটি। আর দ্রুততম সময়ে ২২ সেকেন্ডেই এক পাক ঘুরে যেতে পারবে এ বাড়ি।’

সার্বিয়ান-আমেরিকান উদ্ভাবক নিকোলা টেসলা ও মিহাজলো পুপিনকে দেখে উৎসাহিত হয়েছেন কুজিক। দরিদ্র পরিবারের সন্তান বলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি তিনি। উপার্জনক্ষম হয়ে উঠতে নিজেই ছোটখাট জিনিস বানাতে শুরু করেছিলেন।

কুজিক বলেন, ‘এটা কোনো উদ্ভাবন নয়। ইচ্ছা আর জ্ঞান থাকলেই এমন বাড়ি তৈরি করা সম্ভব। আমার হাতে যথেষ্ট সময় ও জ্ঞান ছিল। পুরো বাড়িটি আমি একাই তৈরি করেছি।’

ঘুরন্ত বাড়িটি তৈরিতে প্রায় ছয় বছর সময় লেগেছে কুজিকের। মাঝে একবার শুধু বছর খানেকের বিরতি নিয়েছিলেন অসুস্থতার কারণে।

বাড়িটি অন্যান্য সাধারণ ঘরবাড়ির তুলনায় বেশি ভূমিকম্প-প্রতিরোধী বলেও দাবি কুজিকের।

এ বিভাগের আরো খবর