বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গঙ্গাদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রতিমা বিসর্জন

  •    
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৩২

পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘গঙ্গার জলে যেন কোনোভাবে দূষণ না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে আমরা যাবতীয় ব্যবস্থা রেখেছি। এ জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ, পুরকর্মী ও কাঠামোগত ব্যবস্থা থাকছে।’

ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার নির্দেশনা মেনে গঙ্গার পানি দূষণ ঠেকাতে পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রতিমা বিসর্জনসহ বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পরিবেশবান্ধব প্রতিমা বিসর্জন শুরু করে সংগঠনটি। তবে এ বছর আরও বড় পরিসরে এ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কলকাতার মুখ্য প্রশাসক পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘গঙ্গার জলে যেন কোনোভাবে দূষণ না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে আমরা যাবতীয় ব্যবস্থা রেখেছি। এ জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ, পুরকর্মী ও কাঠামোগত ব্যবস্থা থাকছে।’

পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, কোভিড বিধিনিষেধ মেনে এ বছর গঙ্গার ১৭টি নির্দিষ্ট ঘাটে দুর্গা বিসর্জন দেয়া হবে। জাজেস ঘাট, নিমতলা ও কদমতলা ঘাটে মূলত বেশি বিসর্জন হয়। তাই এই তিন ঘাটে চারটি ক্রেন থাকবে। জলে প্রতিমা পড়লে ক্রেন দিয়ে কাঠামো তুলে নেয়া হবে যেন বেশিক্ষণ জলে পড়ে না থাকে।

এমনকি গঙ্গার ধারে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফুলমালাসহ পূজার অন্যান্য সামগ্রী ফেলতে হবে বলে জানানো হয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে।

এদিকে রাজ্যের লর্ড হেস্টিংসের দুই ঘাটে এ বছর থেকেই পরীক্ষামূলক বিসর্জনের ব্যবস্থা নিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিসর্জনে দূষণ নিয়ে অভিযোগ কাটাতেই হেস্টিংসের দুই ঘাটে জল দিয়ে প্রতিমা গলানোর জন্য হোসপাইপ ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব উপায়ে বিসর্জনের জন্য দক্ষিণ দমদম এলাকারও বেশ কয়েকটি পুকুর চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। দক্ষিণ দমদম, সল্টলেক, বাগুইআটি, কেষ্টপুর এলাকার দুর্গা প্রতিমা ওই সব পুকুরে বিসর্জন দেয়া হবে। এ জন্য পুকুরের জলের নিচে একটি সিনথেটিক লাইনার লাগানো থাকবে, যেন পূজার ফুল ও মালার মতো সামগ্রী জল থেকে দ্রুত তুলে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা যায়। এতেই দূষণ অনেকটা কমানো যাবে বলে মনে করেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা।

পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছেন, ‘জল দূষণ ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা।'

তিনি আরও জানান, দুপুর ১২টার পর বিসর্জন শুরু হওয়ার কথা। এ সময় নিরাপত্তায় থাকছে ৩ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। নিরঞ্জনে সাহায্য করতে ২ হাজার পুরকর্মী থাকছেন। গঙ্গায় স্পিড বোটে চলবে নজরদারি।

এ ছাড়া রিভার ট্রাফিক গার্ড ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল মজুত থাকছে। থাকছে ওয়াচ টাওয়ার। বিসর্জনে ডিজে ও মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার বাড়ির ও ছোট বারোয়ারি পূজার বিসর্জন হবে। ১৮ অক্টোবর বিসর্জনের শেষ দিন। প্রথম দিনে প্রায় দেড় হাজার প্রতিমা বিসর্জনের কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর