বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৭০০ বছর আগেও বিয়ার খেত মানুষ

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ১২:২১

ইতালির ইরিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও গবেষণা প্রতিবেদনটির মূল লেখক ফ্র্যাঙ্ক মেক্সনার বলেন, ‘দুই হাজার বছরের বেশি সময় আগে লবণ খনির শ্রমিকরা গাঁজন প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন, এটা জানতে পেরে অবাক হয়েছি। সে সময়ের মানুষ চিন্তার দিক থেকে অনেক উন্নত ছিল।’

বিয়ার আর ব্লু চিজ বহু বছর ধরে মানুষ খেয়ে আসছে। এটা নতুন কোনো তথ্য নয়। তবে ২ হাজার ৭০০ বছর আগেও যে ইউরোপীয়রা এসব খেত, এটা কারো ধারণায়ও ছিল না। সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞান সাময়িকী কারেন্ট বায়োলজিতে স্থানীয় সময় বুধবার এসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ হাজার ৭০০ বছর আগে অস্ট্রিয়ার হলস্ট্যাট শহরের একটি লবণ খনির শ্রমিকদের মলের নমুনা পরীক্ষা করে গবেষকরা জানতে পারেন, ওই শ্রমিকরা বিয়ার ও ব্লু চিজ খেতেন।

ইতালির ইরিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও গবেষণা প্রতিবেদনটির মূল লেখক ফ্র্যাঙ্ক মেক্সনার বলেন, ‘দুই হাজার বছরের বেশি সময় আগে লবণ খনির শ্রমিকরা গাঁজন প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন, এটা জানতে পেরে অবাক হয়েছি। সে সময়ের মানুষ চিন্তার দিক থেকে অনেক উন্নত ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমার মতে, ওই শ্রমিকরা বেশ অগ্রসর ছিলেন। আমি এটা আশা করিনি।’

ওই আমলে মানুষজন মদ খেত, তা প্রত্নতাত্ত্বিকদের লেখা ঘাটলেই পাওয়া যায়। তবে অস্ট্রিয়ার শ্রমিকদের মধ্যে এত আগে বিয়ার খাওয়ার চল ছিল, তা এই প্রথম জানা গেল।

অস্ট্রিয়ার মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রির কর্মকর্তা কারস্টিন কোয়ারিক বলেন, ‘নতুন এই তথ্য এটাই প্রমাণ করে, প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষজন রান্নাবান্নায় শুধু অগ্রসর ছিল, তা-ই নয়; তারা গাঁজনের মতো জটিল ও তুলনামূলক আধুনিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে খাবারও তৈরি করত।’

ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে পরিচিত অস্ট্রিয়ার হলস্ট্যাট শহরে তিন হাজার বছরের বেশি আগ থেকেই লবণ উৎপাদন হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনের মূল লেখক মেক্সনার বলেন, ‘ওই শ্রমিকরা অস্ট্রিয়ার আল্পস পর্বতমালায় বসবাস করতেন। শ্রমিকদের ওই পুরো সম্প্রদায় খনিতে কাজ করতেন। খনিতে কাজ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করতেন।

‘পুরোটা দিন ওই শ্রমিকরা খনিতে কাজ করার পাশাপাশি সেখানেই খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে মলমূত্র ত্যাগ করতেন।’

আল্পসের সারা বছরের প্রায় আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের গড় তাপমাত্রা ও খনিতে লবণের উচ্চ ঘনত্ব- এই দুইয়ের কারণে শ্রমিকদের মল এত বছর সুরক্ষিত ছিল।

গবেষকরা শ্রমিকদের মলের চার ধরনের নমুনা পরীক্ষা করেন। একটি মল ব্রোঞ্জ ও দুটি মল লৌহ যুগের। আর শেষেরটি অষ্টাদশ শতাব্দীর মল।

ওই মলগুলোর মধ্যে একটি প্রায় ২ হাজার ৭০০ বছরের পুরোনো। এটিতে পেনিসিলিয়াম রকেফরটি ও সাকারোমাইসিস সিরেভিসিআই নামের দুটি ছত্রাক পাওয়া যায়। এই দুটি ছত্রাক আজকের যুগে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

গবেষকরা ওই শ্রমিকদের খাদ্যাভ্যাস নিয়েও গবেষণা করেন। তারা জানতে পারেন, মূলত সিরিয়াল, ফল, বিনস ও মাংস প্রোটিনের উৎস হিসেবে ওই অস্ট্রিয়ানরা খেতেন।

এ বিভাগের আরো খবর