বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ‘হত্যা’র ভিডিও প্রকাশ

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৪৭

গর্ডনের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুলিশের বক্তব্য তারা মানতে রাজি নন। গর্ডনের চাচা বলেন, ‘এটি দুই পক্ষের গোলাগুলি ছিল না। এটি হত্যা।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সুপারমার্কেটে চলতি মাসের শুরুতে পুলিশের গুলিতে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহত হন।

নিউ ইয়র্ক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় বুধবার ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এরপরই নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করা হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

৬ আগস্ট নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রচেস্টার শহরের পুলিশ ডাকাতির খবর পেয়ে ওই সুপারমার্কেটে পৌঁছায়। সেখানে দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার একপর্যায়ে সিমরান গর্ডন নামের ২৪ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হয়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের শরীরে যুক্ত ক্যামেরায় ধারণ করা ওই ঘটনার প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, সুপারমার্কেটে ঢোকার পর এক পুলিশ কর্মকর্তা তার বন্দুক বের করে গর্ডনকে পকেট থেকে হাত বের করতে বলেন।

এরপর গর্ডন পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ধরতে সক্ষম হন। ওই সময় বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। গর্ডনের শরীরে গুলি লাগায় তিনি মাটিতে পড়ে যান। ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তাটি তাকে তার বন্দুক ফেলে দিতে বলেন।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, দ্বিতীয় পুলিশ কর্মকর্তা অন্যদিক থেকে এসে গর্ডনের পাশে হাঁটু গেড়ে বসে তার হাত থেকে একটি বস্তু নিয়ে বলেন, ‘আমি এটা পেয়েছি’। ওই সময় গর্ডনের মুখ থেকে গোঙানির শব্দ পাওয়া যায়।

বুধবার নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস জানান, ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করার মাধ্যমে কোনো পক্ষ দোষী না নির্দোষ, তা বোঝা যায় না।

রচেস্টার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গর্ডন সশস্ত্র ছিলেন। তিনিই প্রথম গুলি চালান।

তবে গর্ডনের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুলিশের বক্তব্য তারা মানতে রাজি নন।

গর্ডনের চাচা বলেন, ‘এটি দুই পক্ষের গোলাগুলি ছিল না। এটি হত্যা।’

গর্ডনের পরিবারের আইনজীবী ইউসুফ তাহা এএফপিকে বলেন, ‘ওই দুটি ভিডিও আমাদের সামনে উত্তরের চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্ন হাজির করেছে।’

তাহা বলেন, ‘গর্ডনের মৃত্যুর পূর্ণ ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে আমরা আহ্বান জানিয়েছি। গর্ডন ও তার পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়া আমরা অব্যাহত রাখব।’

বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড বিশেষ করে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের সঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধ আচরণের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার তোপের মুখে পড়ে রচেস্টার পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর