বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীনে বন্যায় গৃহহীন ১৮ লাখ মানুষ

  •    
  • ১১ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৩৯

শাঞ্জির প্রাদেশিক রাজধানী তায়িইউয়ানে গত সপ্তাহের গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৮৫ দশমিক ছয় মিলিমিটার। অথচ ১৯৮১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অঞ্চলটিতে অক্টোবর মাসে বৃষ্টিপাতের গড় ছিল ২৫ মিলিমিটার।

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শাঞ্জি প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় গৃহহীন হয়েছে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শাঞ্জিজুড়ে ১৭ হাজার বাড়িঘর ধসে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে স্থানান্তর ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষকে।

চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, একটি ভূমিধসে প্রাণ গেছে চার পুলিশ কর্মকর্তার। বন্যা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত সপ্তাহে প্রবল মৌসুমি বৃষ্টির পর প্রদেশের ৭০টি জেলা ও শহরজুড়ে ভূমিধস হয়। এতে বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর ভেঙে পড়ে।

হেনান প্রদেশে অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় তিন শতাধিক প্রাণহানির তিন মাস না পেরোতেই বন্যার কবলে পড়েছে শাঞ্জির বাসিন্দারা। হেনানের চেয়েও ভয়াবহ বন্যা চলছে শাঞ্জিতে।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, অতিবৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

চীনের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দেশটিতে চলতি বছর বর্ষা মৌসুম দীর্ঘায়িত হচ্ছে। অতিবৃষ্টি ও ঝড় অব্যাহতভাবে চলছে বলে বাসিন্দাদের উদ্ধার করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাঞ্জিতে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপনা। শৈল্পিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত এসব স্থাপনা অতিবৃষ্টির ফলে ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও শঙ্কিত প্রশাসন।

শাঞ্জির প্রাদেশিক রাজধানী তায়িইউয়ানে গত সপ্তাহের গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৮৫ দশমিক ছয় মিলিমিটার। অথচ ১৯৮১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অঞ্চলটিতে অক্টোবর মাসে বৃষ্টিপাতের গড় ছিল ২৫ মিলিমিটার।

তায়িইউয়ানে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বাসিন্দাদের সতর্ক করতে উদ্ধারকর্মীরা মেগাফোন ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। সতর্কবার্তায় শিশু সন্তানদের মাথার ওপর তুলে ধরতে অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়। উদ্ধারকাজে নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সাহায্য করতেও পরামর্শ দেয়া হয়।

শাঞ্জি চীনের অন্যতম প্রধান কয়লা উৎপাদনকারী প্রদেশ। অতিবৃষ্টির কারণে অঞ্চলটিতে খনি ও রাসায়নিক কারখানায় কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

আগে থেকেই চরম বিদ্যুৎ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে চীন। বন্দর ও কারখানায় বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, শাঞ্জিতে ৬০টি কয়লা খনির, কয়লা নেই- এমন ৩৭২টি খনির এবং ১৪টি বিপজ্জনক রাসায়নিক কারখানায় কার্যক্রম বন্ধ আছে।

৪ অক্টোবর থেকে উৎপাদন বন্ধ আছে ২৭টি কয়লা খনিতে।

চলতি বছর বিরূপ আবহাওয়ার সাক্ষী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল। ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল, এশিয়ায় চীনের হেনান, ভারত, আফগানিস্তান, আফ্রিকার নাইজারে বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দাবদাহ ও দাবানলে বিপর্যস্ত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ।

অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরাসহ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতাকে দায়ী করেছেন পরিবেশবিদরা। কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর কারণে বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা।

এ বিভাগের আরো খবর