শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতার তিন দিন পর সাংবাদিক মারিয়া রেসাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতের্তে।
ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম র্যাপলারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেসাকে সোমবার তিনি অভিনন্দন জানান বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রেসাই প্রথম ফিলিপিনো, যিনি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, এ বছর নোবেল পুরস্কারজয়ীদের মধ্যে তিনিই প্রথম নারী।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র হ্যারি রক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রেসার এ পুরস্কার ফিলিপিনোদের জয় এনে দিয়েছে। আমরা এ জন্য খুবই আনন্দিত।’
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষার প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে শুক্রবার ফিলিপিনো সাংবাদিক রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।
রেসার নোবেল পুরস্কার পাওয়াকে ‘বিজয়’ হিসেবে দেখেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা। সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশের তালিকায় ফিলিপাইনের নাম রয়েছে।
২০১৬ সালে ফিলিপাইনের ক্ষমতায় বসেন প্রেসিডেন্ট দুতের্তে। এরপরই রেসা ও তার প্রতিষ্ঠান র্যাপলারকে বেশ কয়েকটি মামলার মুখে পড়তে হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে অনলাইনে রেসাকে হুমকিসহ অবমাননাকর বার্তাও পাঠানো হয়।
র্যাপলারকে ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ হিসেবে দেখেন দুতের্তে।
৫৮ বছর বয়সী রেসা বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, শারীরিক আক্রমণ ও হুমকির মধ্যে কাজ করা ফিলিপাইনের সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় এ পুরস্কার ঢালের মতো কাজ করবে বলে আশাবাদী তিনি।
রেসা বলেন, “সাংবাদিকরা কখনোই ‘তাদের বিরুদ্ধে আমরা’ সৃষ্টি করেনি। এটি ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরাই সৃষ্টি করেছেন। তারা এমন এক ব্যবস্থা কায়েম করেছেন, যেটি সমাজকে বিভক্ত করে।”
তিনি বলেন, ‘আশা করি, নোবেল পুরস্কার জয়ের মধ্য দিয়ে আমরা সাংবাদিকরা নির্ভীকভাবে আমাদের কাজ করে যেতে পারব।’