বৈশ্বিক রাইড শেয়ারিং সেবা উবারের চালক হিসেবে সৌদি আরবের নারীর অংশগ্রহণ এক বছরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী চালক ও যাত্রীদের উৎসাহ দিতে সৌদি আরবে উবার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা হাতে নেয়। এতে সৌদি নারীদের মধ্যে বৈশ্বিক ওই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
সৌদি নারী চালকরা চাইলে কেবল নারী যাত্রী পরিবহন করতে পারবে- এমন ‘উইম্যান প্রেফারড ভিউ’ নীতি হাজির করেছে উবার।
এই উদ্যোগের ফলে সৌদি আরবে শুধু নারী চালকের সংখ্যাই বাড়েনি, পাশাপাশি এক বছরে গড়ে নারী যাত্রী পরিবহনের হারও ৭৯ শতাংশ বেড়েছে।
সৌদি আরবে উবারের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ গাজ্জাজ ওই নীতির সাফল্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি নারীদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গাড়ি চালানো নিয়ে আমরা কয়েক মাস ধরে গবেষণা করি।
‘আমরা এমন এক উদ্যোগ গ্রহণ করতে চেয়েছি, যা সৌদি নারীদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।’
তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যকে আমরা সমর্থন করি।
‘এ ছাড়া কর্মস্থলে সাশ্রয়ী মূল্যে নারীরা যাতে পৌঁছাতে পারে সেদিকেও আমরা লক্ষ্য রাখি।’
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনীত হওয়ার পর থেকে সৌদি আরবকে আধুনিকায়ন করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নে সাহসী কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার।
সৌদি আরবকে কট্টরপন্থা থেকে বের করে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যুবরাজ সালমান। নারীদের ওপর থেকে কঠোর অনেক বিধিনিষেধও তুলে নিয়েছেন তিনি।
এর ফলে সৌদি নারীরা এখন স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার পাশাপাশি গাড়ি চালাতে পারেন। যেতে পারছেন সিনেমা হলে। এ ছাড়া আদালতগুলোতে নারী বিচারক নিয়োগের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
বিদেশ ভ্রমণে নারীদের সঙ্গে স্বামী বা পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি থাকার বাধ্যবাধকতাও তুলে নেয়া হয়েছে।
নারীদের বিষয়ে সবচেয়ে বড় যে সিদ্ধান্তটি এসেছে, সেটি হচ্ছে বোরকা পরা এখন আর বাধ্যতামূলক নেই।