বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উচ্চ মূল্যস্ফীতি: পুরোনো পোশাক কিনছেন পাকিস্তানিরা

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:২০

পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘দেশের জনগোষ্ঠীর প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আমদানি করা ব্যবহৃত পোশাক পরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ নতুন পোশাক কেনার মতো অর্থ তাদের হাতে নেই।’

মূল্যস্ফীতি ও দারিদ্র্যের কারণে চলতি বছরে প্রায় দ্বিগুণ সেকেন্ডহ্যান্ড বা ব্যবহৃত পোশাক আমদানি করেছে পাকিস্তান।

দেশটির ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্সের ডেটা অনুযায়ী, গত অর্থবছরে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক আমদানি ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ওই সময় ৩০৯.৫৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৭ লাখ ৩২ হাজার ৬২৩ মেট্রিক টন ওজনের পোশাক পাকিস্তানে আসে। এর আগের অর্থবছরের চেয়ে এ বৃদ্ধি ৮৩.৪৩ শতাংশ বেশি।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৯ মেট্রিক টন ওজনের পোশাক আমদানি করে পাকিস্তান। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ বৃদ্ধি ২৮৩ শতাংশ বেশি।

এ ছাড়া জুলাই-আগস্টে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাকের পেছনে ৭৯ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে পাকিস্তান। গত বছরের চেয়ে এ বৃদ্ধি ২৭৩.৪ শতাংশ বেশি।

গত মাসে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশ ছিল।

পাকিস্তান সেকেন্ডহ্যান্ড ক্লথিং মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উসমান ফারুকি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বেশি হওয়ায় দেশের মানুষের মধ্যে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক পরা বেড়েছে। এর সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে এসব পোশাক আমদানি।’

তিনি বলেন, ‘যারা আগে কখনো সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক পরেননি, তারা এখন ব্যবহৃত পোশাক কিনছেন।

‘চরম প্রতিকূল আবহাওয়া ও দারিদ্র্যের কারণে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের মানুষ এসব পোশাক কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।’

মূলত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও কোরিয়া থেকে সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক আমদানি করে পাকিস্তান।

বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, পুরোনো পোশাক কেনার অন্যতম কারণ দারিদ্র্য।

পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট ইকনোমিকসের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৯ শতাংশ পাকিস্তানি দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন।

পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘বিদ্যমান দারিদ্র্যের কারণে মানুষকে খাদ্য ও বস্ত্রের মধ্যে একটাকে বেছে নিতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগোষ্ঠীর প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আমদানি করা ব্যবহৃত পোশাক পরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ নতুন পোশাক কেনার মতো অর্থ তাদের হাতে নেই।’

পাকিস্তানি আমদানিকারকরা বলছেন, আমদানি করা কম্বল, জ্যাকেটসহ অন্যান্য দৈনন্দিন পোশাক দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩০ শতাংশের চাহিদা পূরণ করছে।

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচির ব্যবসায়ী ইসমাইল খান বলেন, ‘সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক বিক্রি করা মার্কেটে একটি জিনস ১০০ পাকিস্তানি রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। আর অন্যান্য মার্কেটে নতুন জিনসের দাম ৯০০ রুপি।’

করাচির এমএ জিন্নাহ রোড এলাকায় শুরুতে ব্যবহৃত পোশাক বিক্রি করা হলেও এখন করাচির অন্যান্য এলাকায়ও এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

পাশাপাশি পাকিস্তানজুড়ে অন্যান্য শহরেও সেকেন্ডহ্যান্ড কাপড় কিনছেন মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর