বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিজেপির সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রবিরোধী: তৃণমূল

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:৪২

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা কক্ষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের পৌরহিত্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিধায়ক পদে শপথ নেন জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলাম। শাসক দলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এই অনুষ্ঠানে বিজেপির কোনো বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভা এড়িয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয় বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা কক্ষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের পৌরহিত্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিধায়ক পদে শপথ নেন জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলাম।

শাসকদলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এই অনুষ্ঠানে বিজেপির কোনো বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। সূত্রের খবর, বিজেপি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

বিজেপির অনুপস্থিতি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি হাজির থাকল না আজকে, যারা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে চান। যারা বাংলায় দুই শ পাবে বলেছিল, তারা কেউ আসলো না। এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’

বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিধায়ক পদের লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থীকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি।

আত্মবিশ্বাসে ভরপুর তৃণমূল নেত্রী, যিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিজেপির কাছে হেরে গিয়ে, গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে পুনর্গণনার জন্য মামলা করেছেন। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে মামলা চলছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি হারেননি। তাকে একবার জয়ী বলে ঘোষণাও করা হয়েছিল। তাকে চক্রান্ত করে হার দেখানো হয়েছে পরে। তার অভিযোগ, রাজ্যের সব কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়, আর একটা কেন্দ্রে জয় পেল না?

তাই বিজেপির চক্রান্তের জবাব দিতে হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তৃণমূলের জেতা কেন্দ্র ভবানীপুর মমতার নিজের কেন্দ্র। বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ওই কেন্দ্রের বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। যেখান থেকে মমতা পরে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

করোনার সংকটের দোহাই দিয়ে বিজেপি চাইছিল উপনির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে তৃণমূলকে সংকটে ফেলতে। নির্বাচন কমিশনও কোনো উত্তর দিচ্ছিল না। আবার সময়মতো ভোট হবে না, এ কথা বলছিল না। অনেক টালবাহানা, তদারকি করার পর ৩০ সেপ্টেম্বর আচমকা ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে করোনা বিধি মানার শর্ত আরোপ করা হয়।

তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দেন। সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাসের জামানত জব্দ হয়ে যায়। প্রিয়াঙ্কা পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৯৬ ভোট।

ফলে তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত। ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর- এই তিন আসনে জেতায় বিধানসভায় তৃণমূলের মোট সংখ্যা হলো ২১৬টি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩টি আসনে জয়লাভ করেছিল।

এ বিভাগের আরো খবর