বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩২টি দেশ ও অঞ্চল থেকে যুক্তরাজ্যে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে ইউরোপের দেশটি। একইসঙ্গে এসব দেশ ও অঞ্চলে ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণে আরোপিত বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে নিয়োজিত সংস্থা ফরেইন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) বুধবার এ ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ ও অঞ্চলের সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এফসিডিও।
সংস্থাটি জানায়, বিধিনিষেধ শিথিলের মানে হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এখন আরও সহজে অনেক বেশি গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারবে।
সংক্রমণরোধে গত বছর মার্চে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এরপর নভেম্বরে বিভিন্ন দেশের ওপর থেকে নিষেধ তুলে নেয়া হয়। সবশেষ বৃহস্পতিবার নতুন করে শিথিলের কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস বলেন, ‘মহামারির সংক্রমণরোধে দেয়া বিধির এই শিথিলতা ভ্রমণকে আরও সহজ ও দ্রুততম করে তুলবে। যা যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের ব্যবসা ও পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হবার সুযোগকে বাড়িয়ে দিবে। এমন শিথিলতা বন্ধু এবং প্রিয়জনদের একসঙ্গে প্রশান্তির মাঝে দেখা করার সুযোগ তৈরি করে দেবে।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বের ১১৭টি দেশ ও অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে নাগরিকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল এফসিডিও।
কয়েকদিনের মধ্যে আরও কিছু দেশ ও অঞ্চলের ওপর থেকে ব্রিটেনের ভ্রমণ বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে এফসিডিও।
এই সব দেশ ও অঞ্চলে মহামারি পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি ব্রিটিশ নাগরিকদের করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কমে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
একই সঙ্গে টিকার পূর্ণ ডোজ নেয়া পর্যটকদের করোনা পরীক্ষার সনদ সঙ্গে রাখার শর্তও বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য। পাশাপাশি ১৮ বছরের নিচে যারা টিকার কোনও ডোজই পায়নি, তারাও যুক্তরাজ্যে পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট ছাড়াই যেতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেছে সংস্থাটি।
যেসব দেশ ও অঞ্চলের ওপর থেকে ভ্রমণ বিধি শিথিল
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ বিধি শিথিল করা দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, আমেরিকা সামোয়া, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, বেনিন, কোমোরোস, টোকেলাউ ও নিউ, জিবুতি, ইক্যুয়াটোরিয়াল গিনি, ফিজি, গাম্বিয়া, গিনি, কাজাখস্তান, কিরিবাতি, কসোভো, লাইবেরিয়া, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, সাও টম অ্যান্ড প্রিন্সিপে, সেনেগাল, সলোমান দ্বীপপুঞ্জ, টোগো, টোঙ্গা, টুভালু, ভানুয়াতু, কঙ্গো, ফরাসি পলিনেশিয়া এবং ঘানা।