বিভিন্ন বিষয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভার্চুয়াল বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং।
হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা স্থানীয় সময় বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ভার্চুয়াল বৈঠকের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, “বাইডেন জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শিয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়নি। এবার তা হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দিত'।”
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভার্চুয়ালি হলেও দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হচ্ছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগের দিন মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেছিলেন, তাইওয়ান বিষয়ে শিয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তার।
তিনি বলেন, ‘আলাপে তাইওয়ান চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে আমরা সম্মত হয়েছি। ওই চুক্তি মানা ছাড়া চীনা প্রেসিডেন্ট অন্য কিছু করবেন বলে আমার মনে হয় না।’
বাইডেনের সঙ্গে শিয়ের ফোনালাপের পরদিনই বছর শেষে তাদের মধ্যে বৈঠকের খবর এলো।
শুক্রবার তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায় নিজেদের ৩৮টি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন।
এরপর সোমবার পর্যন্ত চার দিনে ১৫০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশে চীন পাঠায় বলে দাবি করে তাইওয়ান।
তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দেখে চীন। অন্যদিকে তাইওয়ানের ভাষ্য, তারা চীনের অধীন নয়, বরং স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে তাদের অবস্থান।
তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায় চীনের যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করে একে ‘উসকানিমূলক ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে।
পাশাপাশি তাইওয়ানের ওপর সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ বন্ধে চীনের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানায় ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভানের সঙ্গে চীনের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ইয়াং জিয়েচির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে তাইওয়ান প্রসঙ্গও উঠে আসে।
এ ছাড়া তাইওয়ান, হংকং, শিনজিয়াং, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা চীনা কূটনীতিককে জানান সালিভান।