সাবেক স্ত্রী জর্ডানের প্রিন্সেস হায়ারের ফোন হ্যাক করেন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ আল মাখতুম।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে এমনটি জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট।
আদেশে বলা হয়, প্রিন্সেস হায়ারের দুই আইনজীবী ব্যারোনেস ফিওনা শ্যাকলেটন কিউসি এবং নিক ম্যানারসের মোবাইল হ্যান্ডসেটও হ্যাক করার নির্দেশ দেন মধ্যপ্রাচ্যের এই শাসক।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে জুলাইতে দুবাই থেকে পালিয়ে লন্ডনে আশ্রয় নেন প্রিন্সেস হায়া। শেখ মোহাম্মেদের সঙ্গে তার দুই সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে যুক্তরাজ্যের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বড় মেয়ে জালিলার বয়স ১৩ আর ছেলে জায়েদের বয়স নয়।
২০০৪ সালে দুবাইয়ের আমির শেখ মোহাম্মেদের সঙ্গে বিয়ে হয় জর্ডান বংশোদ্ভূত ও যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা নেয়া এই ৪৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়ারের।
দুবাইয়ের শাসকের ষষ্ঠ ও কনিষ্ঠ স্ত্রী ছিলেন প্রিন্সেস হায়া। প্রিন্সেস হায়া দুবাই থেকে প্রথমে জার্মানি গিয়েছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে। দুবাইয়ের এই শাসক ২৩ সন্তানের বাবা।
প্রিন্সেস হায়া এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, হ্যাকের এই তথ্য তার নিরাপত্তার শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে শেখ মোহাম্মেদ হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। ৭২ বছর বয়সী আরব আমিরাতের এই শাসক বিভিন্ন সময় তার ষষ্ঠ স্ত্রীকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিহিত করেন।
আদেশে এমন হ্যাকিংকে যুক্তরাজ্যের প্রচলিত ফৌজদারি আইনের ভয়াবহ লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া হস্তক্ষেপ ও মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘনের পাশপাশি একে এক জন সরকার প্রধানের ক্ষমতার অপব্যবহার বলে উল্লেখ করা হয়।
ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও-এর উদ্ভাবিত স্পাইওয়্যার পেগাসাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছে এই তিন জনের মোবাইল।
এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোন ব্যবহারকারী ব্যক্তির অবস্থান ট্র্যাক করা, ফোনের এসএমএস বার্তা, ই-মেইল এবং অন্যান্য অ্যাপের বার্তা পড়া, তাদের ফোন কলের ওপর নজরদারি, কন্টাক্ট লিস্ট, পাসওয়ার্ড ও ফোন গ্যালারিতে থাকা ইমেজ হ্যাকাররা দেখতে পারে। এই সফটওয়্যার হ্যাকারকে ওই ফোনে থাকে অন্যান্য তথ্যও হস্তগত করতে সহায়তা করে।
এই সফটওয়্যার ফোন ব্যবহারকারীর অজান্তে তার হ্যান্ডসেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।