শৈশবের ট্রমা বড় হওয়ার পর সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। নেদারল্যান্ডসে দুই হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে এ গবেষণা চলে, যা এখনও শেষ হয়নি।
আগের বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, ছোটবেলায় অবহেলা বা নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা একপর্যায়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
সায়েন্স এলার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে ৯ বছর ধরে আরও ব্যাপক আকারে গবেষণা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, শৈশবের ট্রমার সঙ্গে তীব্র বিষণ্নতায় ভোগার কারণে পরবর্তী সময়ে গড়ে ওঠা সম্পর্কে জটিলতা দেখা দেয়।
প্রায় এক দশক ধরে চলা এ গবেষণার প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ বছরে গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের বিষণ্নতা ও উদ্বেগসংক্রান্ত জটিলতা মূল্যায়ন করেন।
চতুর্থ বছরে অংশগ্রহণকারীদের শৈশবের ট্রমাও পর্যালোচনা করা হয়। গবেষণার নবম বছরে তাদের চলমান সম্পর্কের অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়।
তিন-চতুর্থাংশের কিছু বেশি অংশগ্রহণকারী শৈশবে ট্রমার পাশাপাশি বিষণ্নতা বা উদ্বেগে ভোগেন বলে জানা যায়।
গবেষণায় অংশ নেয়া ব্যক্তিরা তাদের বর্তমান সম্পর্কের অবস্থা ভালো নয় বলে জানান। পাশাপাশি তারা সম্পর্ককে ঘিরে বেশি মাত্রায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন বলেও গবেষকদের বলেন।
গবেষকদের ভাষ্য, শৈশবের ট্রমা থেকে বিষণ্নতা ও উদ্বেগ বাড়ে, যা বড় হওয়ার পর গড়ে ওঠা সম্পর্কে ছাপ ফেলে।
গবেষকরা তাদের প্রতিবেদনে বলেন, ‘ছোটবেলায় কেউ অবহেলা বা কোনো ধরনের নির্যাতনের মধ্য দিয়ে গেলে তাদের মধ্যে মন খারাপের পাশাপাশি বিষন্নতা দেখা দিতে পারে।
‘ওই ব্যক্তি ধীরে ধীরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয়।
‘সম্পর্কের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা ও আত্মবিশ্বাসহীনতা পরিস্থিতি জটিল করে। কারণ তারা কোনো সম্পর্কে জড়ালে খুব বেশি ওই সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।’