ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের বিজেপিবিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
বিধায়ক নির্বাচিত না হয়েও দুইবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা।
২০১১ সালে বিধায়ক না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। পরে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে আসেন। এবার ২০২১ সালেও ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখলেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে বিজেপিবিরোধী লড়াইয়ে এই জয়ের জন্য টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন অখিলেশ যাদব, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কানিমোজি, এমকে স্তালিন, হেমন্ত সরেন ও শরদ পাওয়ার।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্তালিন টুইট করে লিখেছেন, ‘এই অসাধারণ জয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভরসার প্রমাণ।’
ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি একটি ছবি পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই জয়ের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখলেন তাই নয়, তিনি ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির আশাকে জাগিয়ে রাখলেন।’
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় গণতান্ত্রিক স্বার্থরক্ষার ইচ্ছা এবং সংকল্পের একটি নিদর্শন।’
ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ের জন্য মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ও উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব।
অখিলেশ মমতার এই জয়কে ‘সত্যমেব জয়তে’র সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। ভবানীপুর থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে তিনবারই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনাড়ম্বরভাবে শপথ নেবেন মমতা।