লখীমপুরের খেরিতে বর্বরোচিত ঘটনায় নিহত কৃষকদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছে।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আনা কৃষক বিরোধী তিনটি কালো আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকদের ওপর গাড়ি ও চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে।
কৃষক হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোববার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উত্তরপ্রদেশের খেরিতে পাঠাচ্ছেন তিনি।
টুইটে মমতা লিখেছেন, ‘লখীমপুরের বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কৃষকদের প্রতি বিজেপির উদাসীন মনোভাব আমাকে গভীর যন্ত্রণা দিয়েছে । সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের দল আক্রান্ত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। আমরা কৃষকদের নিঃশর্ত সমর্থন করছি।’
পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে থাকছেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, প্রতিমা মণ্ডল এবং আবির রঞ্জন বিশ্বাস ।
তারা কলকাতা থেকে বিমানে দিল্লি যাবেন। সেখান থেকে যোগীর উত্তরপ্রদেশে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন।
লখীমপুরের কৃষকরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেখানে তখন এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদের আসার কথা ছিল। ওই সময় সেখানে একটি কুস্তি প্রতিযোগিতা চলছিল। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীদের তার কথা কাটাকাটি হয়।
এসময় হঠাৎ কৃষকদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিষ মিশ্র।
ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের দাবি, ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন তিন কৃষক।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রীর ছেলের তিনটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।
নৃশংস এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তাই কৃষক পরিবারের পাশে দাঁড়াতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত গাড়ি চাপা, গুলি আর সংঘর্ষে আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। লখীমপুরের খেরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং তার ছেলে আশিষ মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।