বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শারীরিক পরিশ্রম বাড়ায় আয়ু

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৪০

গবেষণায় বলা হয়, সঠিক ধরন ও মাত্রার শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ৭০ শতাংশ অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে।

দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে হলে আমাদের দিনে অন্তত সাত হাজার কদম হাঁটা উচিত। আর তা সম্ভব না হলে প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টার বেশি সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, জগিং, টেনিস বা ব্যাডমিন্টন খেলা উচিত।

শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ও দীর্ঘায়ুর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি দুটি বড় আকারের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়।

গবেষণার অংশ হিসেবে বেশ কিছু সময় ধরে ১০ হাজারের বেশি নারী ও পুরুষের শারীরিক কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা হয়।

এতে বলা হয়, সঠিক ধরন ও মাত্রার শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ৭০ শতাংশ অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে।

আগের বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, যারা ব্যায়াম বা অন্য কোনো ধরনের পরিশ্রম করেন না, তাদের চেয়ে শারীরিক পরিশ্রম করা ব্যক্তিরা বেশিদিন বাঁচেন।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছিল, ৪০ থেকে ৭০ বছর বয়সী আমেরিকানদের মধ্যে ১০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ খুব কম ব্যায়াম করা।

২০১৯ সালে ইউরোপের এক গবেষণায় বলা হয়, দুই দশকের নিষ্ক্রিয়তা নরওয়ের তরুণদের মৃত্যুঝুঁকি দ্বিগুণ করে।

কত কম বা বেশি শারীরিক পরিশ্রম দীর্ঘায়ু করে তা কখনো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বেশি ব্যায়াম করলে আয়ু কমে যায় কি না, তাও পরিষ্কার ছিল না।

তবে সাম্প্রতিক দুই গবেষণায় এ বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। চলতি মাসে চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী জামা নেটওয়ার্ক ওপেনে প্রকাশিত প্রথম গবেষণা হাঁটার ওপর জোর দেয়।

আমাদের মধ্যে অনেকে দৈনিক কত কদম হেঁটেছি, তার হিসাব প্রায়ই ফোন ও স্মার্ট ঘড়ির মাধ্যমে নিই। ওই সব ডিভাইস দিনে ১০ হাজার কদম হাঁটার কথা বলে।

তবে স্বাস্থ্যের উন্নতি বা দীর্ঘায়ুর জন্য ১০ হাজার কদম হাঁটার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে না আধুনিক বিজ্ঞান।

সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটস, সিডিসিসহ অন্যান্য সংস্থার গবেষকরা মধ্যবয়সী নারী ও পুরুষের স্বাস্থ্য ও হৃদরোগ নিয়ে গবেষণা করেন।

ওই সব নারী ও পুরুষের বড় অংশ প্রায় ১০ বছর আগে ওই গবেষণায় অংশ নেয়। ওই সময় তারা ৪০ এর কোঠায় ছিলেন। এক সপ্তাহে প্রতিদিন তারা কত কদম হাঁটেন, তা ট্র্যাকারের মাধ্যমে হিসাব করা হয়।

গবেষকরা ২ হাজার ১১০ অংশগ্রহণকারীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত রেকর্ড খতিয়ে দেখেন। তাদের কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তাও দেখা হয়।

রেকর্ড বলছে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭২ জন এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।

হাঁটার সঙ্গে মৃত্যুহারের জোরালো সম্পৃক্ততা খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। যেসব নারী ও পুরুষ দিনে কমপক্ষে সাত হাজার কদম হাঁটেন, তাদের মধ্যে মৃত্যু ৫০ শতাংশ কম। আর এর চেয়ে কম হাঁটা ব্যক্তিদের মৃত্যুহার সে তুলনায় বেশি।

এ বিভাগের আরো খবর